পাথর প্রতিমার “এক কেজি চালের পাঠশালা” ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের মানুষের নজর কেড়েছে।করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই স্কুলছুট ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের একত্রিত করতে এবং লেখাপড়ার মান উন্নয়নের জন্য অভিনব উদ্যোগ পাথরপ্রতিমা ব্লকের কিশোরী নগর এলাকার পুন্ডরীকাক্ষ আচার্যর।
শুরু হলো ছিটে বেড়ার খড়ের চালের তৈরি “এক কেজির পাঠশালা”। নামকরন করা হয়েছে ” বিবেকানন্দ আদর্শ মিলন মন্দির” তবে গ্রাম অঞ্চলের মানুষের কাছে “এক কেজির পাঠশালা” নামে বেশি পরিচিতিলাভ করেছে। বর্তমানে ৫৫ জন শিশু ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে সকালেই চলে পাঠশালা, পাঠশালা চলাকালীন ছাত্র-ছাত্রীদের দেয়া হয় টিফিন, এমনকি প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে বই খাতা পেন পেন্সিল এর সঙ্গে দুর্গাপূজার সময় দেয়া হয় নতুন নতুন জামাকাপড়।
প্রত্যেকদিনই ধ্যান প্রার্থনা সেইসঙ্গে ছড়ার সঙ্গে সঙ্গে নাচের মাধ্যমে লেখাপড়া শেখানো হয়। নাচ গান অঙ্কন রয়েছে শিক্ষার অঙ্গ। বিশেষ করে চোখে পড়ে 5 কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে বড় বড় হরফে লেখা হচ্ছে”অ”আ” স্বর বর্ণের সমস্ত অক্ষর এবং ব্যঞ্জনবর্ণের “ক” “খ” সমস্হ অক্ষর। বাদ যাচ্ছেনা ইংরেজি “এ” বি” সি” ডি” জেড” পর্যন্ত সমস্ত অক্ষর।
আর ও পড়ুন ইউক্রেনে রুশ হামলায় নিহত ৪৭৪ জন, বলছে জাতিসঙ্ঘ
আগামী দিনে বিভিন্ন ছড়াও লেখা হবে বলে জানা গিয়েছে। পুন্ডরীকাক্ষ বাবুর সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে রাস্তার লেখার উদ্দেশ্য ছেলেমেয়েরা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এই অক্ষরগুলোর নিশ্চয়ই আওড়াতে-আওড়াতে যাবে। যার ফলে রাস্তাতেও লেখাপড়া করতে পারবে তারা। সেইসঙ্গে “এক কেজি চালের পাঠশালা”-বলার কারণ হিসেবে জানা যায় প্রতি মাসে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে এক কেজি করে চাল নেওয়া হয়, সেই চাল এলাকার দুঃস্থ দরিদ্র অসহায় মানুষের বাড়িতে ছাত্র-ছাত্রীদের হাত দিয়ে পাঁচ কেজি করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আগামী দিনের পাঠশালা কে আরো সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষিকা।অন্যদিকে অভিভাবকরাই পাঠশালার দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন। তারা জানিয়েছেন শুধু পড়ানো নয় রাত্রে স্কুলের ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করছে কিনা হঠাৎ করে গিয়ে খোঁজ নেয় পুন্ডরীকাক্ষ আচার্য এর ফলে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া ভালো হয়।