পানিহাটিতে গলা কেটে যুবক খুনের ঘটনায় ধৃতদের দশ দিনের পুলিশি হেফাজত। মদ্যপান করাকে কেন্দ্র করে বন্ধুদের মধ্যে বচসার জেরে এক বন্ধুর গলার নলি কেটে খুন করল অন্য চার বন্ধু। শুধু এখানেই শেষ নয়,গলার নলি কেটে তাঁর দেহ গঙ্গার চড়ে মাটিতে পুঁতে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত অন্য চার বন্ধুর বিরুদ্ধে। স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে,শুক্রবার রাতে পানিহাটি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পি ভি সিংহ গঙ্গার ঘাটে পাঁচ বন্ধু মিলে মদ্যপানের আসর বসিয়েছিল।
সেখানেই বিট্টু দাস ওরফে ভান্ডারীর ( ১৯) সাথে কোন একটি বিষয় নিয়ে অন্য চার বন্ধুর তীব্র বচসা বাধে। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন চার বন্ধু মিলে ধারালো চপার দিয়ে বিট্টুকে গলার নলি কেটে খুন করে এবং তাঁর দেহ গঙ্গার চড়ের মাটিতে পুঁতে দেয়। শনিবার সকালের দিকে বিট্টুর মৃতদেহ গঙ্গার ঘাটে ভেসে উঠলে,তা স্থানীয় লোকজনের নজরে আসে। তারাই প্রথমে খড়দহ থানায় বিষয়টি জানায়।
আরও পড়ুন – পূজার দিনগুলিতে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বাজবে না ডি.জে
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। ঘটনার তদন্তে নেমে খড়দহ থানার পুলিশ বেলঘড়িয়া এলাকা থেকে অভিযুক্ত চার বন্ধু মহম্মদ মুস্তাক,আকাশ কুমার ওরফে সূর্য,মহম্মদ সালাউদ্দিন ও দিপু শর্মাকে গ্রেপ্তার করেছে। খুনে ব্যবহৃত চপারটিও পুলিশ উদ্ধার করেছে। ধৃত মুস্তাক খুনের কথা কবুল করে জানিয়েছে, বচসা চলাকালিন রাগের বশে ওকে খুন করা হয়েছে। রবিবার ধৃতদের ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্ত চারজনকে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। পানিহাটিতে গলা