পান চাষিদের পাশে দাঁড়াতে এবার উদ্যোগ নিল হাওড়া জেলা পরিষদ। দেশীয় বাজারের খারাপ অবস্থায় হাওড়ার পানচাষিরা যাতে বিদেশে পান রপ্তানী করতে পারেন সেইজন্য তাদের রেজিস্ট্রেশন এর উদ্যোগ নিয়েছে হাওড়া জেলা পরিষদ। ইতিমধ্যে শতাধিক পান চাষীর রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করেছেন। পান বিদেশে রপ্তানী করতে পারলে ক্ষতির হাত থেকে অনেকটাই তারা বাঁচবে বলে আশাবাদী পান চাষী থেকে হাওড়া জেলা পরিষদের কর্তারা।
হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া, বাগনান, শ্যামপুর আমতা ব্লকে মূলত পান চাষ হয়। জেলায় প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার পরিবার পান চাষের সময় যুক্ত। উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে পান মূলত দুই প্রকার মিঠা পান এবং বাংলা পান। বাংলা পান তিন ধরনের উৎপাদিত হয়। কালিবাঙাল, ঘনুগেঁটে ও মানিকডাঙ্গা এই তিন প্রকার বাংলা পান উৎপাদিত হয় পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু পান চাষীরা বিভিন্ন সময়ে লোকসানের মুখে পড়ে। ঝড়ে ও বর্ষায় মূলত বেশি বৃষ্টিতে পানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তারপর সব সময় দেশের বাজারে ভালো থাকে না।
এই অবস্থায় যদি তারা বিদেশে রপ্তানী করতে পারে তাহলে লোকসানের হাত থেকে তারা কিছুটা বাঁচবে। হাওড়া জেলা পরিষদের কৃষি সমবায় বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ রমেশ পাল বলেন আমরা সবসময়ই পান চাষীদেরও পাশে দাঁড়াই। এবারেও চাষীদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। চাষিরা যাতে লোকসানের হাত থেকে বাঁচে সেজন্য আমরা তাদের বিদেশে রপ্তানী করার ক্ষেত্রেও উদ্যোগ নিচ্ছি। এজন্য আমরা তাদের সরকারি রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা এটা করেছি। ইতিমধ্যে হাওড়ার শতাধিক পানচাষী তাদের পান বিদেশে রপ্তানির জন্য রেজিস্ট্রেশন করার জন্য নাম লিখিয়েছে।
আর ও পড়ুন লরি ও ট্রাক্টরের সংঘর্ষে মৃত্যু হল ট্রাক্টর চালকের
উদ্যানপালন দপ্তরের এক কর্তা জানান তাদের এই রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে তারা নিজেরাও বিদেশে পান রপ্তানী করতে পারবে অথবা অন্য কোন রপ্তানিকারক সংস্থার তাদের কাছ থেকে মাল কিনে বিদেশে রপ্তানী করতে পারবে। এতে তারা অনেক বেশি লাভবান হবে। এছাড়া রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে পান বোরোজের সঙ্গে জিও ট্যাগিং থাকবে এবং জিও ট্যাগিং থাকলে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ক্ষেত্রে পানচাষিরা যে ক্ষতি পূরণ পান সেক্ষেত্রেও তাদের চিহ্নিত করা সহজ হবে। পান চাষিদের