‘সরকারের পারফরম্যান্স কেমন তা মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে,’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

‘সরকারের পারফরম্যান্স কেমন তা মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে,’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

‘সরকারের পারফরম্যান্স কেমন তা মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে,’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার সকালে, চাকরির অভাব এবং মহিলাদের নিরাপত্তা ইস্যুতে সরকারকে সরাসরি নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, “সরকার পারফরম্যান্স কেমন তা মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। রাস্তার ধারে ধারে যুবক-যুবতীরা চাকরির জন্য ধরনা দিচ্ছে, ডি এ এর জন্য, পেনশন এর জন্য সমস্ত জায়গায় হাহাকার। মহিলারা নিজেদেরকে অসুরক্ষিত বলে মনে করছেন। যাদের ভোট সবথেকে বেশি পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

এক বছরে নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছে তাদের। আর্থিক অবস্থা সব থেকে খারাপ আর কিছুদিন পর থেকে বেতন দেওয়ার মতো অবস্থা থাকবে না সরকারের। দলের নেতৃত্বকে দেবেন তা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। আর তা সামাল দিতে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।” এর পাশাপাশি তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বৈঠক নিয়েও মন্ত্যব করেন। তিনি বলেন, “সরকার পার্টি বলে আলাদা কিছু নেই। সরকারের মন্ত্রীদের কাছে কোন কাজ নেই, টাকা পয়সা নেই সরকারের। কোথাও গেলে জিজ্ঞাসা করা হয়, কন্ট্রাকটর রা টাকা কবে পাবে। কাজের কাজ কিছু হয় নি। তাই মিটিং করে কোন লাভ নেই। দলের লোকেদের সমস্যা হচ্ছে। তাদেরকে জবাব দিতে হচ্ছে।

 

প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল কিন্তু কিছুই করতে পারছেন না।” অমিত শাহের বঙ্গ সফর নিয়েও তিনি মুখ খোলেন। তাঁর কথায়, “মানুষ এখনো আমাদের ভরসা করে। আমরা আন্দোলন করছি, লড়াই করছি। সেই জন্যই আমাদের কর্মীরা প্রতিনিয়ত টার্গেট হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, অনেকেই ঘরছাড়া। মিথ্যা কেস দিয়ে জেলে ঢোকানো হয়েছে। যার ফলে একটা মনবলের অভাব ছিল বলে আমার মনে হয়।তবে আমরা দু তারিখ থেকে আন্দোলনে নেমেছি। মানুষ আমাদের সমর্থন করেছে। প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সে কাজটাই আমরা করছি।”

 

এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্যোগে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে রাজ্যের কারও আমন্ত্রন পত্র না পাওয়া নিয়েও তিনি বলেন, “ভিক্টোরিয়াতে কি অনুষ্ঠান জানিনা। গতবার প্রধানমন্ত্রী উপস্থিতিতে, জয় শ্রীরাম ধ্বনি ওঠায়। অপমান বোধ করেছিলেন, তাহলে কেন এবারে আমন্ত্রণ না পেয়ে হাহাকার করছেন। অনুষ্ঠানের ডাক পাওয়া চাই, আবার আমন্ত্রণ না পেলেও দুঃখ। কই আমরা তো হাহাকার করিনা। রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও তো আমাদের কোনো অনুষ্ঠানে ডাকা হয় না ।

 

আমাদের কোন এমপি এমএলএ দের ডাকা হয় না। কোন সরকারী কমিটিতে রাখা হয় না আমাদের।” এদিন স্কুলে গরমের ছুটি নিয়েও সরব হন তিনি। তাঁর কথায়, “এই সরকার যা করে সবই, উল্টো করে। সরকারের কোন ধৈর্য নেই। কে বলেছিল ছুটি দিতে। প্রাইভেট স্কুলগুলোতে ছুটি দিচ্ছে না। সমস্যা তো তাদের বেশি হওয়া দরকার। সাধারণ মানুষ চাইছে স্কুল খোলা থাকুক। ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্ক পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। স্কুলের শিক্ষক নেই, তাই স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মমতা ব্যানার্জির সমস্যা। এভাবে চলতে পারে না। শিক্ষা ব্যবস্থায় উঠে যাবে। শিক্ষকদের রাজনীতির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, ব্যবহার করা হচ্ছে ভোট প্রচারেও।”

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top