কলকাতা – পার্কস্ট্রিটের হোটেলে যুবকের দেহ উদ্ধারের পাঁচদিনের মধ্যেই বড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশ। ওড়িশা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই মূল অভিযুক্ত সন্তোষ বেহেরা ও শক্তিকান্ত বেহেরাকে। তদন্তে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এই দুজনেরই খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে। তবে পুলিশের মতে, বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ না হলে খুনের মোটিফ বা উদ্দেশ্য স্পষ্ট হবে না।
গত শুক্রবার পার্কস্ট্রিটের একটি হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় এক যুবকের দেহ। ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। মৃত যুবকের পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, তাঁর নাম রাহুল লাল। প্রাথমিকভাবে কলিল রোডের বাসিন্দা বলে জানা গেলেও, তদন্তে প্রকাশ পায় যে রাহুল বর্তমানে সেই ঠিকানায় থাকতেন না। এরপর হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ ও রেজিস্টার খাতা ঘেঁটে পুলিশ জানতে পারে, ২২ অক্টোবর রাহুল দুই সঙ্গীর সঙ্গে ওই হোটেলে ঢুকেছিলেন। এরপর থেকে তাঁকে আর বাইরে আসতে দেখা যায়নি।
এই সূত্র ধরেই সন্দেহভাজন দুই অভিযুক্তের খোঁজে ওড়িশা রওনা হয় কলকাতা পুলিশের একটি দল। অবশেষে মঙ্গলবার ওড়িশা থেকেই ধরা পড়ে সন্তোষ ও শক্তিকান্ত বেহেরা। পুলিশের অনুমান, ২২ অক্টোবরই খুন করা হয়েছিল রাহুলকে। শুক্রবার যখন দেহ উদ্ধার হয়, তখন সেটি অন্তত দুই দিন পুরনো ছিল বলে জানিয়েছিলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমানে অভিযুক্তদের ওড়িশা থেকে রিমান্ডে কলকাতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। কলকাতায় এনে তাদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে খুনের কারণ ও ঘটনাক্রম খতিয়ে দেখা হবে। পুলিশ আশা করছে, জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই রহস্যজনক হত্যাকাণ্ডের পেছনের আসল উদ্দেশ্য শীঘ্রই স্পষ্ট হবে।



















