পার্কিং নিয়ে বচসা, সেই বচসা থেকেই গাড়ির চালক এবং সঙ্গীকে বেধড়ক মারধর

পার্কিং নিয়ে বচসা, সেই বচসা থেকেই গাড়ির চালক এবং সঙ্গীকে বেধড়ক মারধর

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

মালদাঃ ক্যান্সার আক্রান্ত এক রোগীকে গাড়িতে নিয়ে এসে ট্রেন ধরাতে গিয়ে পার্কিং চার্জ নিয়ে বচসায় ব্যাপক হেনস্থার শিকার ওই গাড়ির চালক এবং তার এক সঙ্গী।থানায় অভিযোগ দায়েরের কিছু ক্ষণের মধ্যেই আটক দুই অভিযুক্ত। স্টেশন চত্বরের বাইরে পার্কিংয়ের নিয়ম, নিরাপত্তা এবং পুলিশি নজরদারি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন?

আরও পড়ুন: রেশন কান্ডে এবার ইডির ডিরেক্টরের কাছে মমতার ভুমিকা খতিয়ে দেখার আর্জি জানালেন শুভেন্দু

বৃহস্পতিবার রাত্রে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনের বাইরে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত উত্তর তালশুরের বাসিন্দা পেশায় বোলেরো গাড়ির চালক আলমগীর, ক্যান্সার আক্রান্ত এক রোগীকে নিয়ে গতকাল রাত এগারোটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনে যাচ্ছিলেন রাধিকাপুর এক্সপ্রেসে উঠিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে।স্টেশনে ঢোকার আগে গাড়ি পার্কিংএর জায়গায় দায়িত্বে থাকা দুই ব্যক্তি তাদের কাছে পার্কিং চার্জ দাবি করেন। গাড়ির চালক বলেন অসুস্থ রোগী রয়েছে। ট্রেনের সময় প্রায় হয়ে এসেছে।তাই ট্রেনে তুলে দিয়ে এসে পার্কিং চার্জ দেবে।সেখান থেকেই বচসার সূত্রপাত। তারপর ওই রোগীকে স্টেশনে নিয়ে গেলেও গাড়িতে থাকা তার অক্সিজেন সিলিন্ডার নামাতে গেলে পার্কিংয়ের দায়িত্বে থাকা বিচ্ছু মণ্ডল ও সুরজ মন্ডল আলমগীরকে বাধা দেন।

বচসা থেকে শুরু হয়ে যায় বেধরক মারধর। মারধরে সামিল হয় আশে পাশে থাকা তাদের আরো বেশ কিছু সঙ্গীসাথী।গাড়ির চালক আলমগীর কে বাঁচাতে গাড়িতে থাকা তানভীর আলম নামে তার এক সঙ্গী এলে তার উপরেও চড়াও হয় অভিযুক্তরা।এমনকি আলমগীরের দুটো মোবাইল এবং নগদ ৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে শুক্রবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় বিচ্ছু মন্ডল ও সুরজ মন্ডলের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আলমগীর।

হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশন চত্তরের বাইরে নিরাপত্তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন চিহ্ন। বিভিন্ন এলাকাতেই এই ভাবে বারছে দাদাগিরি এবং গা জোয়ারী। আর আক্রান্ত হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এমনটাই অভিযোগ করছে এলাকাবাসী।



অভিযোগকারী গাড়ির চালক আলমগীর বলেন, যেহেতু গাড়িতে অসুস্থ ব্যক্তি ছিল। দায়িত্ব ছিল তাকে ঠিকঠাক ট্রেনে উঠিয়ে দিয়ে আসতে হবে। তাই বলেছিলাম গাড়ি তো এখানে থাকছেই আমরা পরে এসে পার্কিং চার্জ দিচ্ছি। তারপর আমি যখন অক্সিজেন সিলিন্ডার নামাতে গেলাম আমাকে মারধর শুরু করলো। ওদের সঙ্গে আশে পাশে থাকা ওদের আরও সঙ্গী সাথীরা এসে যোগ দেয়। টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে।



গাড়ির চালকের সঙ্গী তানভীর আলম জানান, আমি কোন রকম ঝামেলার মধ্যে ছিলাম না। স্টেশন থেকে বেরিয়ে যখন দেখি ওকে মারছে। আমি থামাতে গেছিলাম। আমাকেও বেধড়ক মারধর করেছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে এই নিয়ে অভিযোগ এসেছে। অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

পার্কিং নিয়ে বচসা, সেই বচসা থেকেই গাড়ির চালক এবং সঙ্গীকে বেধড়ক মারধর

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top