তৃণমূল পার্টিটা দুষ্কৃতকারীদের হাতে চলে গেছে, বললেন দিলীপ ঘোষ । প্রাতঃভ্রমণে দিলীপ ঘোষ সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে আসেন তিনি। ৬৪ তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা ফুল দিয়ে জানালেন বিজেপি কর্মী সমর্থক ও প্রাতও ভ্রমণকারীরা।বিশ্ববাংলা সম্মেলনের শুভেচ্ছা জানিয়ে দিলীপ ঘোষ আশা প্রকাশ করেন, এবারের সম্মেলন একটু ব্যতিক্রমী হবে রেজাল্টও হবে সম্মেলন হয় খাওয়া-দাওয়া হয় তবে মেলা খেলার মত হয়ে গেছে এই সম্মেলন এত কোটি কোটি টাকা খরচা হচ্ছে আমি আশা করব কিছুনা কিছুনা হবে বাংলার অর্থনীতি চাঙ্গা হবে মানুষের চাকরি হবে সেই শুভেচ্ছা জানাই।
বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আসা প্রসঙ্গে তিনি জানান আসার কথা ছিল না তিন চার মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন দেখা করতে তখন বলেছিলেন আসুন বিজনেস সামিট এতোটুকুই প্রধানমন্ত্রী বলেন নি আসব কোন ধরনের অফিশিয়ালি কথাবার্তা হয়নি।
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপির মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব বৈঠক চলে সাংগঠনিক কাজ হয় এটা সারা বছরের কাজ নতুন কমিটি তৈরি হচ্ছে জেলা থেকে মন্ডল তার জন্য চিন্তাভাবনা চলছে আর নির্বাচনে আমাদের পার্টি ভালো রেজাল্ট করতে পারেনি তার জন্য কর্মীদের মধ্যে হতাশা আছে পার্টি লড়াই করেছিল এমএলএ এমপি জিতেছিল রেজাল্ট খারাপ হয়েছে বলে পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ করে হতাশার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে নতুন পরিবর্তন হওয়ার জন্য অনেকেই বাদ পড়েছেন তাদেরও ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছে কথা হচ্ছে সবাইকে একত্রিত করে কাজে লাগালেই সমস্যার সমাধান হবে।
সিন্ডিকেট নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, আপনারা আমাদের মধ্যে কেউ একটু স্টেটমেন্ট দিয়েছে কমেন্ট করেছে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে যাচ্ছেন ওইখানে যে বন্দুক দিয়ে হয়ে যাচ্ছে সৌগত বাবুর বাড়ির সামনে বোম পড়ছে ইট পড়ছে পুরনো নেতারা হতাশ হয়ে গেছেন এই পার্টির অবস্থা দেখে খুনোখুনি হচ্ছে বিজেপিতে এই ধরনের ঘটনা হয়নি হবে না উত্থান-পতনে একটু মন খারাপ হয় তবে তৃণমূল পার্টিটা দুষ্কৃতকারীদের হাতে চলে গেছে তবে বাংলার মানুষের কপালে কষ্ট আরো বাড়বে।
আর ও পড়ুন তোলা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতী হামলা
নারকেলডাঙ্গা থানা কাসাই বস্তিতে প্রতিবাদে মারধরের ঘটনা প্রতিবাদী কে সেই প্রসঙ্গে তিনি জানান ও প্রতিবাদী কেউ নেই মিডিয়ার চুপচাপ হয়ে গেছে হিম্মত দেখাচ্ছেনা অনেক খবর জানতে পারছি না আমরা লড়াই করতাম আমাদের লোকেদের মেরে খুন করে কখনো কেস দিয়ে বাড়ি ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে নির্বাচনে লুটপাট চলছে এজেন্ট বসতে দেওয়া হচ্ছেনা কাউন্টিং এজেন্ট বসতে দেওয়া হচ্ছে না কখনো বাপের সামনে মেয়েকে অসম্মান করা হচ্ছে তখন প্রতিবাদ করতে গেলে তার প্রাণ নিয়ে টানাটানি হয় একাধিক জায়গায় এমন হয়েছে সম্পূর্ণভাবে অনাচার শুরু হয়ে গেছে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই কেবল টিএমসি ঝান্ডা ধরলে বাঁচবে শেষ পর্যন্ত নিজেদের মধ্যেও গোলাগুলি করে মরছে এটা বাংলার মানুষ চাইনি যারা 500 টাকার জন্য ভোট দিয়েছেন তাদের কাছ থেকে কি পাবেন আর।
আনারুল জেল প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, আনারুলের মত যারা সমাজবিরোধী বা এই পার্টির নেতা অপকর্ম করছে মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে তাদের কে মানুষের থেকে বাঁচাবার জন্য নিয়ে জেলে রাখা হয় সেখানে সব সুবিধা ও ফুর্তি করার ব্যবস্থা আছে বলুন আর অনুব্রত বলুন মানুষের ক্ষোভ এদের ওপর পড়বে তাই বাঁচাবার চেষ্টা কারণ এরাই পার্টিকে বাঁচিয়ে রেখেছে এইজন্য অবাক হবার কিছু নেই সাধারন মানুষ যারা ভোট দিয়েছেন তাদের কষ্টটা এখন বেশি।
ম্যাঙ্গালোর শ্রমিক মৃত্যু ঘটনা নিয়ে একাধিক জায়গায় শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে কারণ লক্ষ লক্ষ শ্রমিক এখান থেকে গেছে আর বিভিন্ন রাজ্যের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ গুলো এরাজ্যে শ্রমিকরা করছে যেটা ওখানকার লোক করতে চায়না কারণ এদের কাছে পয়সা নেই পেটের জন্য করতে হয় সেই জন্য এই ধরনের ঝুঁকি সবসময় থাকছে লাগাতার এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে এরা বাঙালির কথা বলেন এই টিএমসি সরকার আসার পর থেকে যুবক-যুবতীরা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন অন্য রাজ্যে কর্মের সন্ধান ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে বাংলায় কাজ নেই বলে এবং দুর্ঘটনা ঘটছে তার জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার।