‘পার্টি বেঁচে যাবে, ভাইপো বেঁচে যাবে, অনেক বড় বড় নেতা বেঁচে যাবে’, অনুব্রত মন্ডল প্রসঙ্গে মন্ত্যব দিলীপ ঘোষের। এই নিয়ে ষষ্ঠবার সিবিআই দফতরে হাজিরা এড়িয়েছেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গরুপাচার মামলায় একাধিকবার সিবিআইয়ের একাধিকবার হাজিরার নির্দেশ এড়ানোর পরও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে শনিবারও তিনি হাজির হননি সিবিআই দফতরে। এমনকী রবিবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তলব করা হলেও হাজিরা দেননি তিনি।
এরপরই নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বিস্ফোরক মন্ত্যব করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “আমার তো মনে হয় ওঁনার হাজিরা দিয়ে, যদি সিবিআই জেলে পাঠায়, জেলে যাওয়া উচিত। না হলে কিন্তু তাঁকে মেরে ফেলা হবে”। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “যত কিছু ঘোটালা হয়েছে বড় বড়, তাতে ওঁনার নাম জড়িয়েছে।
আর ও পড়ুন সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরে দাদার হাতে খুন ভাই
আর সব কিছু ভিতরের খবর উনি জানেন। ওঁনার মুখ যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়, পার্টি বেঁচে যাবে, ভাইপো বেঁচে যাবে, অনেক বড় বড় নেতা বেঁচে যাবে। সেজন্য হয়তো রাজাকে বাঁচাবার জন্য মন্ত্রীকে মেরেও দিতে পারে।” দিলীপ ঘোষের মন্ত্যবের বিপক্ষে পাল্টা চড়াও হন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, বিজেপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে। রাজনীতির ময়দানে টিকে থাকতেই এ ধরনের মন্তব্য, দাবি তৃণমূল সাংসদের। পাশাপাশি বিজেপি মানুষ খুনের রাজনীতি করে, তাই এই মন্তব্যে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেওয়া হল কিনা, তা ভাবতে হবে বলে প্রতিক্রিয়া শান্তনু সেনের।