স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে প্রজাতন্ত্র দিবসের পার্থক্যটা কি ? জেনে রাখুন । প্রজাতন্ত্র দিবস সম্পর্কে কিছু জানা ও না জানা তথ্য, যা জেনে রাখা প্রয়োজন । আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি প্রজাতন্ত্র দিবসের। তবে এই প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে জেনে নিন এই প্রজাতন্ত্র দিবস সম্পর্কে। এই প্রজাতন্ত্র দিবস নিয়ে আমাদের ধারণা কতটা? কেন ২৬ জানুয়ারিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে প্রজাতন্ত্র দিবসের জন্য? আর স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে প্রজাতন্ত্র দিবসের পার্থক্যই বা কী? এই সব কিছু খুঁটিনাটিই জেনে নিন।
এই বছর ভারতে কত তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হবে?
চলতি বছরে দেশ ৭১তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করবে।
ভারতের সর্বপ্রথম জাতীয় পতাকার রং কেমন ছিল?
১৯০৬ সালের ৭ অগাস্ট কলকাতায় প্রথম দেশের জাতীয় পতাকা উড়েছিল। আর সেই পতাকার রং ছিল লাল, হলুদ আর সবুজ রঙের।
২৬ জানুয়ারিই কেন আমরা প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করি?
১৯৫০ সালে দেশের সংবিধান তৈরি হওয়ার পর, তা কার্যকর করতে একটি দিনের প্রয়োজন ছিল। আর তখনই ঐতিহাসিক মাহাত্ম্যের বিচারে বেছে নেওয়া হয় ২৬ জানুয়ারিকেই। এই কারণেই ২৬ জানুয়ারি পরিচিত হতে শুরু করল ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে।
প্রজাতন্ত্র দিবস আর স্বাধীনতা দিবসের মধ্যে কী পার্থক্য?
১৯২৯-এর বর্ষশেষে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে ‘পূর্ণ স্বরাজ’ আনার শপথ ঘোষণার পর ১৯৩০ সাল থেকে ২৬ জানুয়ারিকেই স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে ঔপনিবেশিক শাসনের শিকল ভেঙে ভারত যেদিন বাস্তবেই স্বাধীনতার মুখ দেখল- সেইদিন ঘটনাচক্রে ছিল ১৫ অগাস্ট। যার ফলে পালটে গিয়েছিল ২৬ জানুয়ারির গুরুত্বও।
আর ও পড়ুন ২৬ জানুয়ারিই প্রজাতন্ত্র দিবসের মহিমা সম্পর্কে জানুন
‘জনগণমন অধিনায়ক জয় হে’ কত সালে ভারতের জাতীয় সংগীতের মর্যাদা লাভ করে?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জনগণমন অধিনায়ক জয় হে’ ১৯৫০ সালে ভারতের জাতীয় সংগীতের মর্যাদা লাভ করে।
‘বন্দে মা তরম’ গানটি কত সালে, কোথায় প্রথম প্রকাশিত হয়?
১৮৮২ সালে বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসে প্রথম এই গানটি প্রকাশিত হয়। রচনার অব্যবহিত পরে লেখক যদুভট্টকে গানটিতে সুরারোপ করার জন্য অনুরোধ করেন।
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কি গোটা দেশে ছুটি থাকে?
হ্যাঁ। যে দিন থেকে এই দেশে প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হচ্ছে, ঠিক সেই দিন থেকে ২৬ জানুয়ারিকে জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
গেরুয়া, সাদা আর সবুজ রঙের জাতীয় পতাকা কী ভাবে হল?
১৯২১ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের পিঙ্গালি ভেনকাইয়া নামের এক ডিজাইনার মহাত্মা গান্ধীকে তেরঙা একটি পতাকা দেখান। সেই পতাকার সাদা রঙের উপরেও ছিল একটি চক্র। তা-ই পরবর্তী সময়ে হয় অশোক চক্র। আর সেই পতাকাই হয় দেশের জাতীয় পতাকা।