বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গ রাষ্ট্রপতি ভোট
পার্থ চট্টোপাধ্যায়:
এই প্রথম আমরা দেখলাম রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী রাজ্যে এলেন, কিন্তু অন্য দলের কাছে ভোট চাইলেন না। একটি হোটেলে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বসে মিটিং করলেন। আমাদের কাছে তো ভোট চাননি, তাহলে ভোট দেওয়ার প্রশ্ন আসছে কোত্থেকে। আর কে কাকে চিঠি দিচ্ছেন এটাও তো রীতিনীতি না। ওরা আগে ওদের 77 টা ভোট চূড়ান্ত করুক। উনি চিঠি দেওয়ার কে ? প্রার্থী যেখানে কোন আবেদন করেননি। ঘৃণ্য রাজনীতির জন্য বিজেপি পরিষদীয় দল চিঠি দিয়েছেন আমাদের বিধায়ক সাংসদ দের।
আদিবাসীদের জন্য আন্দোলন করে আদিবাসীদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কী অবদান তা দেশের মানুষ জানে। সিম্বলিক কাউকে প্রার্থী করে প্রমাণ করা যায় না যে আদিবাসীদের জন্য এরাই সব কিছু করেছে। আদিবাসী মানুষের কাছে সঠিক বার্তাই যাবে।
স্পিকার :
আমরাও দেখলাম আমাদের কাছে কেউ ভোট চাইল না। আমি তো অফিসেই ছিলাম কোন ভোট চাওয়ার আবেদন আসেনি। আগে কখনও এরকম ঘটনা ঘটেনি।
প্রসঙ্গ রাজ ভবন
স্পিকার: রাজভবন একটা তামাশার জায়গায় পরিণত হয়েছে যা হচ্ছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। আমাদের লজ্জা লাগে
পার্থ চ্যাটার্জি
রাজ্যপাল তার গরীমা নষ্ট করছেন তিনি কোন একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে মন্তব্য করছেন। এতে রাজ্যপালের চেয়ারের অবমাননা। গতকাল যে ঘটনা ঘটল, আমার রাজনীতির ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনো দেখিনি। ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদের যে চেষ্টা তা কখনওই পশ্চিমবঙ্গের বুকে হবে না, তারা এই চেষ্টা করছেন। বিকৃত সংস্কৃতি তৈরি করার যে চেষ্টা চলছে তা প্রতিহত করতে হবে।
ইতিহাসের অবক্ষয়
ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা হচ্ছে। অশোক স্তম্ভ এর পরিবর্তন করে বিজেপি নিজেদের কি বোঝাতে চাইছি আমরা জানিনা, রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে কেরোসিন ধরাছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু এই সরকারের কোন দিকে কোন নজর নেই। আমাদের এখানে মানুষ বাঁচবে কী করে? রাজ্যের মানুষ বাঁচবে কী করে? দেশের মানুষ বাঁচবে কী করে? অন্য দেশের থেকে আমাদের দেশের কথা ভাবতে হবে।
আরও পড়ুন – অভিষেক কে কাছে পেয়ে নিজের সমস্যার কথা জানালেন স্নেহাশীষ সাহা
স্পিকার
আমাদের দেশের আইন আছে জাতীয় পতাকা বা জাতীয় সঙ্গীতের বিকৃতি বা পরিবর্তন করা অপরাধ। শাস্তি হবে। দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু তারপরও কি করে প্রধানমন্ত্রী অশোক স্তম্ভ অববামনা করেন?
ভানু ভক্তের জন্মদিনেও নেই বিজেপির কোনও বিধায়ক। তা নিয়ে বিজেপিকে নাম না করে নিশানা করেন স্পিকার আর পার্থ। তবে বিধানসভার অনুষ্ঠান শেষে অন্য সব কটি অনুষ্ঠানের মতোই পরে এসে ভানু ভক্তকে স্মরণ করেন বিজেপির কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামা সহ কয়েকজন। তাদের বক্তব্য, বিধানসভায় স্পিকারের পক্ষপাত মুলক আচরণ করেন। আর পিএসসি নিয়ে এখনও পরিস্থিতির বদল নেই। তাই আমরা আসিনি। তবে শ্রদ্ধা আমরা সব সম্মান জানাই। সম্মান জানাই।



















