পালাতে গিয়ে ধৃত গণধর্ষণে অভিযুক্ত ভাঙড়ের যুবক

পালাতে গিয়ে ধৃত গণধর্ষণে অভিযুক্ত ভাঙড়ের যুবক

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

:পালাতে গিয়ে ধৃত গণধর্ষণে অভিযুক্ত ভাঙড়ের যুবক। তরুণী কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসে গণধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম রফিকুল মোল্লা। বুধবার সায়েন্স সিটি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে প্রায় এক মাস ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন অভিযুক্ত। ধৃত কে বৃহস্পতিবার বারুইপুর মহাকুমা আদালতে তোলা হয়।

 

প্রায় এক মাস আগে ভাঙড় থানায় তিন জন যুবকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানা এলাকার এক তরুণী। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রায় এক মাস পর মূল অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ভাঙড় থানার পুলিশ। এত দিন পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন অভিযুক্ত। তাঁকে জালে পুরতে নিজেদের ‘সোর্স’কে ময়দানে নামিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। রফিকুল যেন বেমালুম ‘উবে’ গিয়েছিল কর্পূরের মতো। তবে পুলিশকর্মীরা হাল ছাড়েননি।

আরও পড়ুন – দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হতে বাকি, শমীক

বুধবার তারই ফল মিলল। আচমকা পুলিশ জানতে পারে, রফিকুল এলাকা ছাড়তে চাইছেন। তিনি হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার ছক কষছেন। তিনি সায়েন্স সিটি থেকে বাস ধরে পালাতে পারেন বলেও জানতে পারে পুলিশ। সেই তথ্য দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশকে।বুধবার বাসন্তী হাইওয়ে হয়ে রফিকুল সায়েন্স সিটি আসেন বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরমা আইল্যান্ড পৌঁছন তিনি। সেখান থেকে বাস ধরে চম্পট দিতে চাইছিলেন। কিন্তু তার গতিবিধি সন্ধেহ জনক হওয়াতে সেখানকার কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের নজরে পড়ে যান।

 

এক সার্জেন্ট তাঁর নাম জিজ্ঞাসা করেন। তবে রফিকুল প্রথমে আসল নাম-পরিচয় লুকিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন বলেও সূত্রের খবর। তাতে পুলিশের সন্দেহ আরও বাড়ে। পুলিশের কাছে রফিকুলের ছবি ছিল। তা দেখে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন তাঁর পরিচয় সম্পর্কে।রফিকুলকে গ্রেফতার করে প্রাথমিক ভাবে প্রগতি ময়দান থানায় রাখা হয়। এর পর তাঁকে তুলে দেওয়া হয় ভাঙড় থানার পুলিশের হাতে। বৃহস্পতিবার ভাঙড় থানার পুলিশ অভিযুক্ত কে বারুইপুর মহাকুমা আদালতে পাঠায়।অভিযুক্ত কে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিঞ্জাসাবাদ করে এই ধর্ষণ কান্ডে আর কারা কারা জড়িত আছে তাদের খোঁজ তল্লাশি করবে বলে পুলিশ সূত্র জানা গিয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top