কার হাতে ধীরে ধীরে উঠে আসছে পাহাড়ের রাজনীতির চাবিকাঠি?

কার হাতে ধীরে ধীরে উঠে আসছে পাহাড়ের রাজনীতির চাবিকাঠি?

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
আসছে

গত  একুশের বিধানসভা  নির্বাচনের পর পাহাড়ের রাজনীতি বদলাতে শুরু করছে। গোর্খা জনমুক্তির মোর্চার বিমল গুরুং বনাম বিনয় তামাং গোষ্ঠীর অন্তর্কলহের ফায়দা তুলে বিজেপি জয়যুক্ত হয়েছে দার্জিলিং-এ। কিন্তু ভোটের পরই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছেড়ে দেন বিনয় তামাং।

 

আর বিনয় তামাং-সঙ্গী অনীত থাপাও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছেড়ে নতুন দল গড়েন। এই অবস্থায় পাহাড় রাজনীতিতে রাশ কার হাতে সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি তুলেছে সব পক্ষ। তাতেই জল্পনা আসলে পাহাড়ে শক্তি পরীক্ষা করতে চাইছে রাজনৈতিক দলগুলি।

 

আর ও পড়ুন    দীঘায় প্রবল জলোচ্ছ্বাস ও ঝড়ো হাওয়া, জারি হল সর্তকতা

 

তৃণমূল নেত্রী  মমতাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বিমল গুরুং পাহাড়ে ফিরেছেন। একুশের নির্বাচনের আগে বিমল গুরুংয়ের প্রত্যাবর্তন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয় তামাং গোষ্ঠী মানতে পারেনি। তৃণমূল ব্যর্থ হয়েছে বিমল গুরুং ও বিনয় তামাং গোষ্ঠীকে এক করতে। বিধানসভা নির্বাচনে তাই পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। যার ফায়দা লুটে জয়ী হয়েছে বিজেপি।

 

কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর বিনয় তামাং মোর্চা ছেড়ে দেন। ফলে বিমল গুরুংয়ের হাতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার রাশ চলে আসে পুরোপুরি। বিনয় তামাং মোর্চা ছাড়ার পর তাঁর সঙ্গী অনীত থাপাও দল ছেড়ে গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা করেন। এছাড়া পাহাড়ে রয়েছে জিএনএলএফ, রয়েছে আরও অনেক ছোটোখাটো দল।

 

পাহাড়ে এক দল ভেঙে কম দল তৈরি হয়নি। মোর্চা বা জিএনএলএফ- সমস্ত দল ভেঙে একাধিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে। সম্প্রতি একাধিক নতুন দল এসেছে। পাহাড়ের এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কোন দলের হাতে রাশ, তা বোঝা দায়। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি তুলে সব দলই চাইছে শক্তি পরীক্ষা করে নিতে। কার হাতে আসতে পাহাড়ের রাশ তা একটা নির্বাচন না হলে সুস্পষ্ট হবে না।

 

পাহাড়ে ২১ বছর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল। এতদিন পর ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে সরব পাহাড়ের সমস্ত রাজনৈতিক দল যক সরব, তখন রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এর পিছনে রয়েছে পাহাড়ের রাশ কোন রাজনৈতিক দলের হাতে, তা নিরূপণ করা। সেই লক্ষ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি উঠেছে পাহাড়ে। একযোগে জিজেএম, জিএনএলএফ, গোর্খা লিগ-সহ সমস্ত পাহাড়ের দল দাবি তুলেছে নির্বাচনের।

 

এদিকে, পরিসংখ্যান বলছে,   পাহাড়ে ২০০০ সালে শেষবার পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল। তারপর ২০০৫-এ ফের পঞ্চায়েত নির্বাচন করার তোড়জোড় শুরু হলেও শেষপর্যন্ত তা হয়নি। তখন সুবাস ঘিসিংয়ের শাসন পাহাড়ে। বাম আমল। পাহাড় অশান্ত হওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে যায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারপর পরিবর্তন এলেও পাহাড় বারবার উত্তপ্ত হওয়ার কারণে নির্বাচন সংঘটিত হয়নি।

 

 

উল্লেখ্য, বিনয় তামাং-সঙ্গী অনীত থাপাও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছেড়ে নতুন দল গড়েন। এই অবস্থায় পাহাড় রাজনীতিতে রাশ কার হাতে সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি তুলেছে সব পক্ষ। তাতেই জল্পনা আসলে পাহাড়ে শক্তি পরীক্ষা করতে চাইছে রাজনৈতিক দলগুলি।কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর বিনয় তামাং মোর্চা ছেড়ে দেন।

 

ফলে বিমল গুরুংয়ের হাতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার রাশ চলে আসে পুরোপুরি। বিনয় তামাং মোর্চা ছাড়ার পর তাঁর সঙ্গী অনীত থাপাও দল ছেড়ে গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা করেন। এছাড়া পাহাড়ে রয়েছে জিএনএলএফ, রয়েছে আরও অনেক ছোটোখাটো দল।

 

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top