পাহারাদার কে বেঁধে রেখে লক্ষাধিক টাকা ডাকাতি কদম্বগাছির এক কারখানায়। ১০ই জুন শুক্রবার গভীর রাতে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত কদম্বগাছি পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার টাকি রোডের ধারে বামুনমুড়ায় এক তার কারখানায় দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। জানা যায় পাঁচ ছয় জনার একটি ডাকাত দল গভীর রাতে আচমকাই ঢুকে পড়ে কারখানার মধ্যে।
রাতে কারখানায় কোন কর্মচারী ছিল না। ছিলো কেবল মাত্র একজন পাহারাদার। ডাকাতদল ঢুকে প্রথমে পাহারাদারকে দড়ি দিয়ে পিছমোড়া করে বাঁধে,তার মোবাইল ফোনটি ভেঙে দেয়, চিৎকার-চেঁচামেচি করলে ধারওয়ালা অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলার হুমকি দেয় ডাকাতদল পাহারাদার কে বলে অভিযোগ । তারপর একটি গাড়ি ভর্তি করে ৫ টনের মতন তার নিয়ে যায় ডাকাত দলেরা। যার আনুমানিক মূল্য তিন থেকে চার লক্ষ টাকা।
সকালে কারখানার কর্মচারীরা কাজে আসলে ঘটনা জানাজানি হয়। মালিককে খবর দেওয়া হয়। মালিক আসলে তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছায় কদম্বগাছি ফাঁড়ির পুলিশ। কিভাবে ঘটনাটি ঘটলো তা জানতে চায় পাহারাদারের কাছে । এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা না গেলেও এই ঘটনায় কে বা কারা যুক্ত তার পুরোটাই তদন্ত করছে কদম্বাগাছি ফাঁড়ির পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ কারখানাটি কদম্বাগাছি পুলিশ ফাঁড়ির ঢিলছোড়া দূরত্বে।
রাত্রিবেলা লরি ভর্তি করে মাল নিয়ে ডাকাত দলের চন্পট দেওয়ায় কোনরকম টের পেল না পুলিশ। পুলিশি নজরদারি নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন তুলছে এলাকার মানুষ। শুধু এই ঘটনা নয় বেশ কিছুদিন ধরে কদম্বগাছি পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। রাত্রিবেলা টাকি রোডের ধর্মতলার কাছে বেশকিছু গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে সেই সব গাড়ি থেকে কখনো তেল কখনো গাড়ির ব্যাটারি কখনো গাড়ির চাকা খুলে নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা। এমনকি দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির কাঁচ ভেঙে দিয়ে যাচ্ছি দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ।
পুলিশি টহল দারি নিয়ে এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ গোটা অঞ্চলের ৩০ থেকে ৩৫ টি গ্রাম আছে গ্রামের মধ্যে রাত্রিতে পুলিশের দেখা না মিললেও প্রতিদিন পালা করে নির্দিষ্ট জায়গায় অবস্থান করে পুলিশ। কখনো টাকি রোডের ধর্মতলা মোড়ে কখনো কদম্বাগাছি ঘোষপাড়া মোড়ে আবার কখনো দেখা যায় বাদু রোড়ের কুবের পুরের কাছে। রাত্রি হলেই লরি গুলো দাঁড় করিয়ে কাগজ চেকিং এর নামে যানজট সৃষ্টি করে যার ফলে একটু রাত হলেই স্থানীয় কেউ চারচাকা গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরতে গেলে রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি লরির দাপটে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় তাদের বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।