পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উপর জোর দিলেন মমতা

পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উপর জোর দিলেন মমতা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
পাহাড়

পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উপর জোর দিলেন মমতা । পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে। কার্শিয়াংয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে এমন  বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  পাশাপাশি পাহাড়ে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও দিলেন  মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‌আমাকে সুযোগ দিন। পাহাড়ের স্থায়ী সমাধান করে দেব।’‌

 

বিভিন্ন সময় আলাদা রাজ্যের দাবিতে উত্তপ্ত হয়েছে পাহাড়।  তৃণমূলের অভিযোগ, সেই অশান্তিতে বারবার ইন্ধন জোগাচ্ছে বিজেপি। পাহাড়কে আলাদা রাজ্য করারও ভয় দেখাচ্ছে কেন্দ্র। আর এই প্রস্তাব দিয়ে পাহাড়ের স্থানীয় দলগুলিকে নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা করে তাঁরা। এবার সেই সমস্ত প্ররোচনা, রাজনৈতিক টানাপোড়েনের ইতি টানতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

মমতা বলেন,  ‘‌বাইরে থেকে এসে রাজনীতি করে চলে যাচ্ছে। দার্জিলিংকে ভেঙে দিচ্ছে। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ হবে। পাহাড়ের পার্মানেন্ট সলিউশন হবে পাহাড়ের মানুষকে নিয়েই।’‌ তিনি  বলেন,  ‘‌কাশ্মীরে কেন রক্ত ঝরবে? পাহাড়ে কেন রক্ত ঝরবে? আমি শান্তির পক্ষে। কিন্তু সরকার থাকলেই সব করতে পারে না।’‌

 

মমতা অভিযোগ করে বলেন, এখানে বহিরাগতরা গোলমাল পাকায়। ভিতরের কেউ এসব করে না।’‌ স্থায়ী সমাধানের জন্য একাধিক পদক্ষেপের কথাও ঘোষণা করেছেন মমতা। জিটিএ নির্বাচনেরও ঘোষণা করেছেন। মমতা বলেন, ‘‌ভোটার তালিকা সংশোধন হলেই জিটিএ নির্বাচন করা হবে। তার আগে নিজেরা কথা বলো। সমস্যা মেটাও। ঝগড়া কোরো না। একসঙ্গে কাজ কর।’‌ ২০০১ সাল থেকে পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট হয়নি।

 

মমতা বলেন,  এখানে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা রয়েছে। ত্রিস্তরীয় করা হবে।’‌ এদিনের বৈঠকে রোশন গিরি এবং অনীত থাপা পাহাড়ের জন্য আলাদা স্কুল সার্ভিস কমিশনের দাবি করেছেন। সব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। শুধু তাই নয়, পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য সব দলের প্রতিনিধি, শিল্পগোষ্ঠীদের নিয়ে স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

 

আর ও পড়ুন    দীপাবলি কথাটির অর্থ কি? জানুন এর ইতিহাস

 

পাহাড়ে কর্মসংস্থান নিয়ে মমতা বলেছেন, ‘আমরা কর্মসংস্থান নিয়ে আলোচনা করি। কিন্তু আমাদের সামনে থাকা জিনিসগুলোকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সে বিষয়ে আমরা ওয়াকিবহাল নই। দার্জিলিংয়ে পাহাড়ের গায়ে যে গাছ থাকে, সেগুলির পাতা যদি রপ্তানি করা যায়, তা অত্যন্ত লাভজনক। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ।’‌ এই পাতা রপ্তানির সুযোগকেই সোনার খনির সঙ্গে তুলনা করেছেন মমতা। পাশাপাশি ঝরনার জল ব্যবহার করে পাহাড়ে ওয়াটার বটলিং প্ল্যান্ট তৈরির পরামর্শও দেন মমতা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top