পাহাড়ি ভূমিতে গ্রেপ্তার ১৪ জন জমি মাফিয়া। পাহাড়ি ভূমিতেও জমি হাঙরদের থাবা। দার্জিলিং পুলিশের তিন থানা এলাকায় গ্রেপ্তার১৪। একইসঙ্গে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের জালে এবারে মহিলা জমি মাফিয়া। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই শিলিগুড়ি জুড়ে জমি মাফিয়াদের ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ।প্রায় ৭৫জন জমি মাফিয়াকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর এরপরই শুধু শিলিগুড়ি সমতল এলাকা নয় পাহাড়ি জমিতেও থাবা বসিয়ে থাকা জমি দস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে দার্জিলিং জেলা পুলিশ।দার্জিলিং পুলিশের আওতাধীন তিন থানা এলাকার ১৪জন জমি মাফিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ছয়টি পৃথক মামলায় দার্জিলিং জেল পুলিশের নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি ও সেবক ফাঁড়ি জমি মাফিয়াদের গ্রেপ্তার করে। সবগুলি সেবক ফাঁড়ি এলাকায় পাথরের ধাপ দখলে নিয়ে রাতারাতি হাত বদলের অভিযোগ সামনে আসে। অভিযোগের ভিত্তিতে দু জন জমি মাফিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে সেবক ফাঁড়ির পুলিশ।ধৃতদের নাম গৌতম গাজমের, তুলসী প্রধান। এছাড়াও নকশালবাড়িতে পৃথক পৃথক জমি দখলের মামলায় ৮জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খড়িবাড়ি এলাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও চার মাফিয়াকে। রবিবার দার্জিলিং জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনোরঞ্জন ঘোষ জানান অধিকাংশই সরকারি জমি দখল ও সরকারি জমি হাত বদলে বিক্রির মামলা রয়েছে।
আর ও পড়ুন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করলো স্বামী
অধিকাংশের বিরুদ্ধেই সরকারি জমি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি ডিএলআরও ও বিএলআরও দপ্তরের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।দার্জিলিং পুলিশের আরওতাধীন নকশালবাড়ি ও খড়িবাড়ি এলাকায় সমতলের সরকারি জমি হস্তান্তরের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১২জন ধৃতের নাম বাবলু ছেত্রী, স্টুফন নাইক, বাবলু ওঁরাও, প্রতাপ জালকো, বপন মন্ডল, চাঁদ জ্ঞান, অসিত রায়, ভারত মুন্ডা।
এদিকে খরিবাড়ি থানায় খোকন ঘোষ, সঞ্জিত বর্মন, জিতেন্দ্র গিরি। এদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এলকাবাসী অভিযোগ ছিল। এদিকে নিউজলপাই গুড়ি এলাকা এবারে জমি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত মহিলা মাফিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এক জমি কেলেঙ্কারিতে সাতজনকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। তাদের মধ্যেই রয়েছে রুপালি রায়। এছাড়াও সোলেমন,মহম্মদ নজরুল, হাসিবুল, নিবাস পাল,নীলকান্ত পাল, তুষার পালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে অন্যান্য পুরুষ সঙ্গের মদতেই জমি জবরদখলের এই কালো কারবারে হাতে খড়ি মহিলার।