উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের জলচক নাটেশ্বরী নেতাজী বিদ্যায়তনের 22 জন ছাত্র-ছাত্রী। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এক প্রান্তে সবং বিধানসভার অন্তর্গত পিংলা থানার জলচক নাটেশ্বরী নেতাজী বিদ্যায়তন স্কুল। এবারে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রেকর্ড সাফল্য মিলেছে। একসাথে ২২ জন পড়ুয়া প্রথম দশ স্থানাধিকারির মধ্যে রয়েছে। রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী এই স্কুলের ছাত্র সায়নদীপ সামন্ত। তার প্রাপ্ত নম্বর 497। তৃতীয় স্থানাধিকারীর মধ্যে রয়েছে পরিচয় পাড়ি। তার প্রাপ্ত নম্বর 496।
তাছাড়াও 495 নম্বর পেয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন কিংশুক রায় ,সৌম্য দীপ মণ্ডল ও প্রীতম মিদ্যা, 493 নম্বর পেয়ে ষষ্ঠ স্থানে শ্রীকৃষ্ণ সামন্ত,492 নম্বর পেয়ে সপ্তম স্থান অর্জন করেছে পিংকি খাতুন, সান্তনু পাল ও প্রতীক মন্ডল , 491 নম্বর পেয়ে অষ্টম স্থান অর্জন করেছে শর্মিষ্ঠা ঘোড়াই, শেখ রাহুল হোসেন ,সৌম্যদীপ সামন্ত, অংকন সাহু , সৈকত রায়, 490 নম্বর পেয়ে নবম হয়েছে সাহেব দাস অধিকারী ও অমিয় শাসমল, এবং489 নম্বর পেয়ে দশম স্থান অর্জন করেছে শর্মিষ্ঠা মহাপাত্র, আকাশ ঘোষ, সৌম্যদীপ করণ, শুভজিৎ শাসমল, শৈলেশ জানা ও পবিত্র বেরা।
এবারে এই স্কুল থেকে ১০৯ জন ছাত্রী সহ ২৪৭ জন পরীক্ষা দিয়েছিল ,তাদের মধ্যে ২২ জন রাজ্যে প্রথম দশ স্থানাধিকারী রয়েছে। বাকি সকলেই প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে। ১৯৪৯ চলে স্কুলটি স্থাপতি হয়। স্কুলের জন্য ময়নাগড়ের রাজা বাহুবলিন্দ দান করেছিলেন জমি। স্কুলে ৩০টি ক্লাস রুম থাকলেও নতুন করে ৪৬টি রুম সহ একটি বিল্ডিং তৈরি হয়েছে। সেখানেই ক্লাস হচ্ছে। সায়েন্স, আর্টস, কমার্স, ভোকেশনাল, আইটি বিষয়ে পড়ানো হয়। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত মোট ১৫০০ ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। ২৪ জন সায়েন্সের শিক্ষক সহ ৩৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। রয়েছে হোস্টেল। এবারে মাধ্যমিকে যারা ৬০০ উপরে নম্বর পেয়েছে তারাই একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগে এবারে ১৩৫ জন ভর্তি হয়েছে একাদশ শ্রেণীতে।
আরও পড়ুন – প্রকাশিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের প্রথম দশে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ৯ জন ছাত্র ছাত্রী
মাধ্যমিক পরীক্ষায় স্কুলে এবারে সর্বোচ্চ নম্বর ৬৭২। পরীক্ষা দিয়েছিল ১১০ জন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরুণ চক্রবর্ত্তী গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে কাজে যোগদান করেন। এই সাফল্যের পেছনে শিক্ষকদের অবদান বলে দাবি করেন প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, খুবই ভালো লাগছে, একসাথে ২২ জন রাজ্যের মেধাতালিকায় স্থান করেছে । এর আগে ১৯৯০ সালে একজন স্থান করেছিল, ২০২০ সালে একজন স্থান করেছিল। করোনা পরিস্থিতি সময় অনলাইন ক্লাস হলেও হোস্টেলে শিক্ষকরা ক্লাস নিতেন। যার ফলে খুশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রীসহ জলচক এলাকার সর্বস্তরের মানুষ জন।