পুকুর ভরাট নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ, ঘটনায় আহত ২ ,বারাসাত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । অভিযোগ দত্তপুকুর দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইসুবাটি পূর্ব পাড়া এলাকায় একটি পুকুর ভরাট করার অভিযোগে এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর উপর হামলা আহত এক গোষ্ঠীর দুই জন। তাদের কে বারাসাত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দত্তপুকুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শান্ত সাহার নেতৃত্বে এই পুকুর ভরাট করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ । তখন অপর গোষ্ঠী লোকজন পুকুর ভরাট করা যাবে না বলে প্রতিবাদ করে আর তখনই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপক্ষ দুজন গুরুতর জখম হয় তাদেরকে বারাসাত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । উপপ্রধান শান্তু সাহা দাবি তিনি এলাকায় ছিলেন না , তিনি গন্ডগোল এর ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান এবং কোন পুকুর ভরাট হচ্ছে না রাস্তার পাশে পুকুরের পাইলিং এর জন্য মাটি ফেলা হয়েছে ।
পুলিশ এসছিলো পুলিশ তদন্ত করে দেখছে ,এর সঙ্গে উপপ্রধান কোনরকম ভাবে যুক্ত নয় বলে দাবি তার । যদিও তৃণমূল কর্মী মোঃ শওকত আলী তিনি জানান স্থানীয় 5 থেকে 6 জন ওই এলাকায় প্রমোটিং রাজের সাথে যুক্ত তারা একাধিক পুকুর ভরাট করে তা বিক্রি করে দিয়েছে । গতকাল রাতের অন্ধকারে ইসুবাটি এলাকার রাস্তার ধারে পুকুরটি ভরাট করতে আসলেই শওকত আলী সহ বেশ কয়েকজন বাধা দেয় এবং তারপরেই তার উপরে চড়াও হয় অভিযুক্তরা ।
শুধু মাটি ফেলে পুকুরভরাট নয়, পুকুরের পাশে থাকা বেশ কয়েকটি বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হয় বলে অভিযোগ তৃণমূল কর্মী শওকত আলীর । এরপর এলাকায় পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় । এই বিষয়ে এলাকার স্থানীয় তৃণমূল কর্মী আশরাফুল ইসলাম তিনি জানান শওকত আলী নিজেই জমি মাফিয়া তিনি একাধিক জমি ভরাট করে প্রমোটিং করেছে ।
আরও পড়ুন – মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে বিজয় উল্লাস তৃনমূলে
এই জমি নিজের না-পাওয়ার কারণেই মূলত এই বিরোধিতা করছে । তবে শওকত আলীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ক্যামেরার সামনে করলেও এর আগে কোথাও লিখিত অভিযোগ জানান সওকাত আলির বিরুদ্ধে । শওকত আলী নাকি বিভিন্ন সময় তৃণমূল কংগ্রেসের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রভাব খাটিয়ে একাধিক জলাশয় ভরাট করেছে ।
এই বিষয়ে দত্তপুকুর দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সন্ধ্যা রায় জানান এ বিষয়ে তার কিছু জানা নেই তবে অভিযোগ সত্যি হলে বিষয়টি দেখা হবে । তবে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ আদতে পরিবেশের কথা মাথায় না রেখে একের পর এক পুকুর ভরাট করে চলেছে শাসক দলের নেতৃত্ব তা স্পষ্ট এই ঘটনা থেকে । এখন এ বিষয়ে প্রশাসন বা দলীয় নেতৃত্ব কী ব্যবস্থা নেয় সেটাই দেখার ।