পুজোর আগে সেভাবে জমলো না বাম কর্মচারীদের নবান্ন অভিযান। বিগত দশক ধরে প্রতি ফি বছর দুর্গাপুজোর আগে বামপন্থীদের সাধারণ ধর্মঘট দেখে এসেছে এই রাজ্যের মানুষ। গত বছরের মার্চ মাসে ডাকা দু’দিনের ধর্মঘটে সেভাবে জন সমর্থন না পাওয়ায়, এই বছর আর ধর্মঘটের পথে হাঁটে নি বামপন্থীরা। বামেদের পৌর বিষয়ক যৌথ মঞ্চের আহ্বানে শুক্রবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ও পৌরসভার স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীরা হাওড়া স্টেশনে বেলা ১টায় জমায়েত হন নবান্ন অভিযানে শামিল হওয়ার জন্য।
মূলত অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ, সমকাজে সম বেতন, কর্মীদের জন্য ঘোষিত আর্থিক প্যাকেজ ও কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দানের দাবীকে সামনে রেখে এই কর্মসূচি নেওয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। হাওড়া রেল মিউজিয়ামের সামনে সমবেত হয়ে সেখান থেকে মিছিল করে তারা নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ওই মিছিল হাওড়া স্টেশন হয়ে বঙ্কিম সেতু দিয়ে হাওড়া কোর্টের সামনের রাস্তা দিয়ে হাওড়া ময়দানে এসে পৌঁছলে সেখানে পুলিশ আগে থেকেই ব্যারিকেড করে তাঁদের আটকে দেয়।
আরও পড়ুন – জেলার দাবিতে বিডিওর মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান
কর্তব্যরত পুলিশ অধিকারিকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে সংগঠনের কর্মীরা। যদিও পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে নি আন্দোলনকারীরা। যদিও এদিনের নবান্ন অভিযান মিছিলে সেভাবে জন সমাগম ছিল না।
এদিনের নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে অল বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল ওয়ার্কমেন্স ফেডারেশনের সম্পাদক ও যৌথ মঞ্চের কনভেনর দীপক মিত্র জানান, মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে দিচ্ছে যাতে কোনও আন্দোলন না সংগঠিত হয়।
তাঁরা শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে মিছিল করছিলেন। তবে পুলিশ ও প্রশাসন তা আটকে দেয়। তাঁরা আবেদন করেছিলেন ছয়জন প্রতিনিধিকে নবান্নে স্মারক লিপি জমা দিতে অনুমতি দেওয়া হোক। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, পুলিশও রাজ্য সরকারি কর্মচারী। তাঁরাও বর্ধিত হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন না। আর এই সরকার সম কাজে সম বেতনের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেকেও মানছে না। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তাঁরা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছেন। এবারে তাঁরা রাজ্যজুড়ে সব পৌরসভাগুলোকে অচল করে দেবেন। পুজোর আগে