আজও
এই পুজোর ইতিহাস গায়ে কাঁটা দেয় আজও! আজ থেকে হাজার বছর আগে লক্ষন সেন এই পুজোশুরু করেছিলেন। গৌর থেকে লক্ষন সেন যখন পালিয়ে এসে এখানে আত্মগোপন করে। সেই সময় সেখানে একটি কাপালিক ছিল। কাপালিক নর বলিদান দিয়ে মায়ের সাধনা করে ছলেছিল। সে তখন দেখে এখন লক্ষন সেনের সঙ্গে দেখা না করলে তার কাজ চালিয়ে যেতে অসুবিধে হবে।তখন সে লক্ষন সেনকে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে বললেন নর বলি দিয়ে।
আর যখন যখন নর বলি দিয় মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে যাবে সেই সময় সেখানে চলে আসে জয় গোপাল দেব। তিনি এসে নানা রকম প্রশ্ন শুরু করেন কে বলেছে, কি বলেছে, তখন কাপালিক বলে মা বলেছে, তখন মাকে দেখাতে বললে কাপালিক তাকে দেখাতে পাড়েন নি।তখন কৃষ্ণ ভক্ত গোপাল জয়দেব এই দেবীর মধ্যে কৃষ্ণ রূপ দর্শণ করে ছিলেন। তার জন্য এই দেবীর নাম হয় শ্যামারূপা।
শাল-সেগুনে ঘেরা চারপাশ। হঠাৎই শেষ হয়ে যায় পিচ রাস্তা। পথ নির্দেশ দেয় গড় জঙ্গলের ঠিকানা। শ্যামারূপার মন্দির। পুরুলিয়ার কাশীপুর রাজবাড়ির দাবি, কাঁকসার এই জঙ্গলে সেনদের ইষ্টদেবী শ্যামারূপাকে লুকিয়ে রেখেছিলেন রানি সাধনা। ইতিহাস আছে।
আর ও পড়ুন এই মহিলা বিবাহিত পুরুষদের পছন্দ করেন, তিনি তাদের সাথে কি করতে পছন্দ করেন?
আবার লোককথাও আছে। তবুও প্রায় হাজার বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই মন্দির এখনও জাগ্রত বলেই দাবি এলাকার মানুষের। রাজা লক্ষ্মণ সেনের এই মন্দির একসময় দেখভাল করতেন রাজা ইছাই ঘোষ। আজও নাকি অষ্টমীর সন্ধিক্ষণে তিনটি তোপধ্বনি শোনা যায়। সেই তোপ শুনেই নাকি পুজো শুরু করেন সুড়ুলের সরকাররা।
মহাঅষ্টমীর ক্ষণে রাখা থাকে সোনার থালা। তাতে থাকে সিঁদুর। আজও নাকি পুরুলিয়ার কাশীপুর রাজবাড়িতে পায়ের ছাপ রেখে যা মা শ্যামারূপা। এখনও রীতি মেনে একসঙ্গে অষ্ঠমীর অঞ্জলী দেয় রাজপরিবার। এই বাড়ি অনেক গল্প জানে। রাজা-রানির গল্প। এই বাড়ি জানে এক দেবীর উপাখ্যান।
সত্যি অনেক ইতিহাস মিশে আছে এই বাড়ির মধ্যে। বয়ে যাওয়া সময়ে আজ ধুলো জমেছে বেলজিয়াম কাচের উপরে। কামান আছে, গোলা নেই। তবুও আছেন শ্যামারূপা। শাখা-প্রশাখা আজ অনেক দূর পর্যন্ত। কিন্তু অষ্ঠমীর সকালে এই বাড়ির দালান ভরে যায় রাজ পরিবারের কোলাহলে।
উল্লেখ্য,আজ থেকে হাজার বছর আগে লক্ষন সেন এই পুজোশুরু করেছিলেন। গৌর থেকে লক্ষন সেন যখন পালিয়ে এসে এখানে আত্মগোপন করে। সেই সময় সেখানে একটি কাপালিক ছিল। কাপালিক নর বলিদান দিয়ে মায়ের সাধনা করে ছলেছিল। সে তখন দেখে এখন লক্ষন সেনের সঙ্গে দেখা না করলে তার কাজ চালিয়ে যেতে অসুবিধে হবে।
তখন সে লক্ষন সেনকে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে বললেন নর বলি দিয়ে। আর যখন যখন নর বলি দিয় মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে যাবে সেই সময় সেখানে চলে আসে জয় গোপাল দেব। তিনি এসে নানা রকম প্রশ্ন শুরু করেন কে বলেছে, কি বলেছে, তখন কাপালিক বলে মা বলেছে, তখন মাকে দেখাতে বললে কাপালিক তাকে দেখাতে পাড়েন নি।তখন কৃষ্ণ ভক্ত গোপাল জয়দেব এই দেবীর মধ্যে কৃষ্ণ রূপ দর্শণ করে ছিলেন। তার জন্য এই দেবীর নাম হয় শ্যামারূপা।