উত্তর 24 পরগণা – ভয়াবহ একটি পারিবারিক নির্যাতনের ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার মাটিয়া থানার স্বরূপনগর বাজার এলাকায়। পুত্রবধূকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শ্বশুর শঙ্কর বিশ্বাসকে। শুধু তাই নয়, বাবার এই পাশবিক কীর্তির কথা জেনেও স্ত্রীর পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টে তাঁকে মারধর করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে স্বামী সোমনাথ বিশ্বাসও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে অশোকনগরের গুমা রাজিবপুরের বাসিন্দা এক তরুণীর সঙ্গে বিবাহ হয় স্বরূপনগর বাজার এলাকার বাসিন্দা সোমনাথ বিশ্বাসের। বিয়ের পর তাঁদের দাম্পত্যজীবন ভালই চলছিল এবং তাঁদের চার বছরের একটি সন্তানও আছে। কিন্তু এই সংসারের শান্তি ভেঙে দেয় সোমনাথের বাবা শঙ্কর বিশ্বাস। অভিযোগ, গত দুই মাস ধরে ওই তরুণীর উপর কুনজর পড়ে শ্বশুর শঙ্কর বিশ্বাসের এবং তখন থেকেই তিনি পুত্রবধূকে লাগাতার যৌন নির্যাতন করে আসছিলেন।
এই ঘটনার কথা স্বামীকে জানানোর পরও কোনও প্রতিকার মেলেনি। বরং স্ত্রীর অভিযোগ অস্বীকার করে সোমনাথ উল্টে তাঁকেই বেধড়ক মারধর করে। এর পর থেকে শ্বশুরের অত্যাচার আরও বেড়ে যায় বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত আর সহ্য করতে না পেরে শনিবার মাটিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শ্বশুর শঙ্কর বিশ্বাসকে ধর্ষণের অভিযোগে এবং স্বামী সোমনাথ বিশ্বাসকে স্ত্রীর উপর শারীরিক নিগ্রহ ও ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে। রবিবার তাঁদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয় এবং পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতাকে বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠিয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষাও করানো হয়েছে।
