কোনও রকম পুননির্বাচন হবে না, জানিয়ে দিলো রাজ্য নির্বাচন কমিশন । কলকাতা পুরসভা ভোট নিয়ে বিরোধীদের দাবি খারিজ করে বার্তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। উল্লেখ্য গতকাল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক পুরভোটে অশান্তি এবং ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ করে বিক্ষোভে বসেছিলেন। তিনি কমিশনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দাবি জানিয়েছিলেন পুরভোট বাতিলের। পুরভোটেও অশান্তির অভিযোগ বিরোধীদের।
পুরভোটে ছাপ্পা ভোট এবং রিগিংয়ের অভিযোগ নিয়ে রাজ্যপালের কাছে নািলশ জানিয়েছিলেন তাঁরা। তারপরে নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানান তাঁরা। শুভেন্দু অধিকারী রীতি মত কমিশনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, ‘যদি দম থাকে তাহলে ভোট বাতিল করে পুর্ননির্বাচন করুন। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ধুলো মিশিয়ে দিয়েছেন’। বিরোধী দলনেতা বলেছেন, ‘পিসি-ভাইপো এ জিনিস চালাতে পারেন না, চলবে না। বিধানসভায় সিপিএম যেমন শূন্য হয়েছে, কংগ্রেস যেমন শূন্য হয়েছে। একদিন তৃণমূলও শূন্য হবে’।
গতকালকলকাতা পুরভোটে রক্ত ঝরেছে কলকাতায়। টাকি বয়েজ স্কুলের সামনে বোমাবাজিতে ৩ জন আহত হয়েছেন। বোমাবাজি হয়েছে খান্না ও বেলেঘাটা স্কুলের সামনেও। ব্রোবোর্ন রোডে বুথের ভেতরে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে রীতিমত ধস্তাধস্তি শুরু হয়েছিল কংগ্রেসের। বাগবাজারে বিজেপি প্রার্থীকে বুথের বাইরে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শেষ বেলা পর্যন্ত একাধিক জায়গা বারবার উত্তাল হয়ে উঠেছিল পুরভোটকে কেন্দ্র করে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার দাবি করেছেন উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে।
আর ও পড়ুন এক ধাক্কায় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় কমলো তাপমাত্রা
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমত বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস অশান্তি করেছে প্রমান দিতে পারলে দলমত নির্বিশেষে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। এদিকে দুপুরেই পুরভোটে অশান্তির দাবিতে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামে বিজেপি। বিকেল ৫টার পর কলকাতা শহরে বিজেপি প্রতিবাদ শুরু করে। এই নিয়ে সন্ধে থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছিল শহর কলকাতা। বিরোধী দলনেতা সল্টলেকের বাড়িতে ২০ জন বিধায়ককে নিয়ে বৈঠকে বসেন। সেই সময় তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলেছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।
বিধায়কদের বাড়ি থেকে বেরোতে দেওয়া হচ্ছো না বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রায় ঘণ্টা তিনেক এই নিয়ে টানাপোড়েন চলে। সন্ধেবেলা বিরোধী দলনেতা রাজ্যপালের কাছে যান। তিনি অভিযোগ করেছেন ‘কলকাতার ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি। ২০ শতাংশ ভোট হয়েছে, বাকিটা রিগিং’। রাজ্যপালের কাছে ভোট বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এরপর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়েও অভিযোগ জানান বিরোধী দলেনা।