কলকাতা পুরভোটে ম্যাজিক ফিগার পার করলো তৃণমূল। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে পুরনির্বাচনের গণনা। ইতিমধ্যেই ১১৪ আসনে এগিয়ে রয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। বিজেপি ৩টি আসনে, কংগ্রেস এবং বামেরা ২টি আসনে এবং অন্যান্যরা ১টি করে আসনে এগিয়ে রয়েছে। গত বার কলকাতা পুরভোটে ১৪৪ ওয়ার্ডের মধ্যে ১১৪টিতে জিতেছিলো তৃণমূল। মঙ্গলবারের ভোট গণনার আগে শাসক শিবিরের দাবি, ১৩৪-এর কম নয়। রবিবার ভোটগ্রহণ পর্বের ছবি দেখে অনেকের দাবি, এ বারের পুরভোটে দু’অঙ্ক পেরনোই বিরোধীদের কাছে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১৪৪টি ওয়ার্ডের গণনা হবে ১১টি কেন্দ্রে। গণনা কেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে তিন হাজার পুলিশ। সঙ্গে থাকছে কুইক রেসপন্স টিম এবং রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড। প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে থাকবে সহকারী মিউনিসিপ্যাল রিটার্নিং অফিসার। পাশাপাশি গণনাকেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা।
কলকাতা পুরসভার ১১৭, ১১৮ এবং ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই জিতে গিয়েছে তৃণমূল। ২০১৫ সালের নির্বাচনেও এই তিনটি কেন্দ্রে জিতেছিল তৃণমূল।১১৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী অমিত সিংহ। ১১৮ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তারক সিংহ। ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী কাকলি বাগ।
বেহালার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে গিয়েছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। এগিয়ে রয়েছেন ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম। তিনি কলকাতা পুরকর্পোরেশনের বিদায়ী মেয়রও। ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছেন সজল ঘোষ। ওই ওয়ার্ডে তিনি ইতিমধ্যেই এগিয়ে গিয়েছেন। রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার পুরভোটে প্রার্থী হয়েছেন ৮৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। ইতিমধ্যেই এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূলের এই প্রার্থী। এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী মীনা দেবী পুরোহিত। তিনি ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী। ২০১৫ সালেও ওই আসন থেকে জিতেছিলেন তিনি।গণনা শুরু হতেই প্রতিদ্বন্দ্বীদের পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছেন মালা রায়। তিনি ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী।
আর ও পড়ুন প্রচন্ড শীতে কাঁপছে গোটা উত্তর ভারত, বাতিল হলো ৬২ টি ট্রেন
যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার পুরভোটে দাঁড়িয়েছেন ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ইতিমধ্য়েই ওই ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছেন এই তৃণমূলপ্রার্থী। ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেট প্রশাসক বিশ্বরূপ দে। তিনি ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী।গণনা শুরু হতেই এগিয়ে গিয়েছেন ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অতীন ঘোষ। তিনি কাশীপুর-বেলগাছিয়ার বিধায়কও।৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী পরেশ পাল। তিনি বেলেঘাটার বিধায়কও।
রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে বরো ১ এবং ২-এর গণনা। ৩, ৪, ৫ এবং ৬ নম্বর বরোর গণনা হচ্ছে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। বরো ৭ এবং ১২-এর গণনা হবে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে। বরো ৮-এর গণনা হবে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ টিচার্স ট্রেনিংয়ে। হেস্টিংসের ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্যাল এডুকেশন ফর ওম্যানে হবে বরো ৯-এর গণনা। বরো ১০-এর ভোটগণনা হবে যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলে। বরো ১১-এর গণনা যোধপুর পার্ক গার্লস স্কুলে। বরো ১৩-এর ভোটগণনা বরিষা হাইস্কুলে, বরো ১৪-এর ভোটগণনা হবে বিবেকানন্দ স্কুলে। বরো ১৫-এর ভোটগণনা সিস্টার নিবেদিতা গর্ভমেন্ট কলেজ এফ গার্লস-এ, বরো ১৬-এর ভোটগণনা ব্রতচারী বিদ্যাশ্রমে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বামেরা ১৫, বিজেপি সাত, কংগ্রেস পাঁচ এবং অন্যেরা তিনটি ওয়ার্ডে জিতেছিল। বিরোধীদের আশা, এ বার তাঁরা ১০ পেরোবেন।
উল্লেখ্য, কলকাতা পুরভোটে ম্যাজিক ফিগার পার করলো তৃণমূল। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে পুরনির্বাচনের গণনা। ইতিমধ্যেই ১১৪ আসনে এগিয়ে রয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। বিজেপি ৩টি আসনে, কংগ্রেস এবং বামেরা ২টি আসনে এবং অন্যান্যরা ১টি করে আসনে এগিয়ে রয়েছে। গত বার কলকাতা পুরভোটে ১৪৪ ওয়ার্ডের মধ্যে ১১৪টিতে জিতেছিলো তৃণমূল। মঙ্গলবারের ভোট গণনার আগে শাসক শিবিরের দাবি, ১৩৪-এর কম নয়। রবিবার ভোটগ্রহণ পর্বের ছবি দেখে অনেকের দাবি, এ বারের পুরভোটে দু’অঙ্ক পেরনোই বিরোধীদের কাছে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।