আনিস কান্ডে পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি সুজনের, পুরভোটে সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে দেওয়ার বার্তাও দিলেন। পুরসভা ভোটের ঠিক আগেই পুর নির্বাচন নিয়ে একাধিক ইস্যুতে মুখ খুললেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার দক্ষিন ২৪ পরগনার বারুইপুরে সিপিএমের জেলা পার্টি অফিসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুজন বলেন, শাসক দল বজবজে নমিনেশন জমা দিতে দেয়নি।
এখন ভোট লুঠ করার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। আর তাতে প্রশাসনের একাংশ সাহায্য করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। যে বিধায়কের স্বামী আমতা খুনের সাথে যুক্ত তার সাথে সিভিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। সিভিক পুলিশ কেন তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে মিছিলে ঘুরবেন? এই প্রশ্ন করেন তিনি। আমতা কান্ড থেকে পুলিশের শিক্ষা নেওয়া উচিত। যাতে বলির পাঁঠা না হতে হয়। সোনারপুর, জয়নগর, বারুইপুর, ডায়মন্ডহারবার মহেশতলা সব জায়গাতেই মানুষ যেন নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন সেই বার্তা দেন সুজন। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় সিপিএমের দলীয় পতাকা, ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
এছাড়া আনিস কান্ড সম্পর্কে আরও একবার রাজ্যের পুলিশ ও শাসক দলকে আক্রমণ করেন সুজন। তিনি বলেন, “আনিস কান্ডে সরকার বে আব্রু হয়ে পড়ছে। কার নির্দেশে পুলিশ গেল? চুনোপুঁটিদের ঘাড়ে ফেলে পুলিশ সুপার বাঁচার চেষ্টা করছেন। পুলিশ সুপারকে কে নির্দেশ দিয়েছিল? তৃণমূলের নেতা এসপি ও ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ মন্ত্রী নিজের দায় এড়াতে পারেন না। এসপি ও ওসিকে খারিজ করতে হবে। পুলিশমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।”
আর ও পড়ুন প্রতিবন্ধী পরিবারের উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগ
রাজ্যের বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালকে রাত ২টোর সময় ভাষণ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে শুনে কার্যত তাজ্জব বনে যান সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “ রাত দুটোর সময় রাজ্যপাল ভাষন দেবেন এটা কি ঠিক? আমি তাজ্জব, এটা অভাবনীয়।
যদিও এটা ঠিক যে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দোপাধ্যায় ও রাজ্যের ক্ষমতায় তৃণমূল রয়েছে ফলে এটা তাদের পক্ষেই মানায়। তবে এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।” রাতের অন্ধকারে চুরি করতে সুবিধা হবে বলেই নিশুতি রাতে বিধানসভার অধিবেশন ডেকেছে এই সরকার, দাবি সুজনের।