পুলিশি নিরাপত্তার অভাব দেখিয়ে মাদ্রাসা নির্বাচন স্থগিত ! সরব বিরোধীরা। দুই দিন পরেই ছিল মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির নির্বাচন।একেরপর এক প্রস্তুতি সভা করে চলেছিলেন বাম কংগ্রেস জোট। বৃহস্পতিবার বাম কংগ্রেস জোটের সভায় উপস্থিত লোকের সংখ্যা দেখে চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছিল শাসকদলের।তাই শুক্রবার মাদ্রাসায় সর্বদলীয় বৈঠক চলাকালীন পুলিশ এসে হাজির।পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী প্রদান করা সম্ভব হবে না তাই নির্বাচন এর দিন পরিবর্তন করতে হবে। মাদ্রাসা নির্বাচনের ঠিক দুই দিন আগে হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ তালগাছি সিনিয়র মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষকে এই মর্মের চিঠি দিয়ে আবেদন জানান।
আগামী রবিবার নির্বাচন স্থগিত করতে বললেন হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ প্রশাসন।নির্বাচনের ঠিক দুই দিন আগে পুলিশ প্রশাসনের এই ধরনের চিঠি প্রকাশ্যে আসায় ক্ষোভ এলাকার বিরোধী দলগুলোর মধ্যে।বিরোধীদের দাবি নির্বাচনে শাসক দল আগেই হেরে বসে আছে,তাই যেন তেন প্রকারে এই নির্বাচনকে খারিজ করতে পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়েছে শাসকদল।নিরাপত্তার অভাবের অজুহাত দেখিয়ে ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন করাতে চাইছে না শাসক দল। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি শাসক দল তৃণমূলের।
প্রসঙ্গত আগামী রবিবার ১৬ তারিখ হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকার তালগাছি সিনিয়র মাদ্রাসাতে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন ছিল। ইতিমধ্যে ওই নির্বাচনের জন্য নমিনেশন ফাইল পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। সিপিএম কংগ্রেস মিলিতভাবে জোট প্রার্থীর প্রদান করেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।শুক্রবার এই নির্বাচন নিয়ে সর্বদলীয় মিটিং এর আয়োজন করেছিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।মিটিং চলাকালীনই হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ প্রশাসন থেকে একটি চিঠি মাদ্রাসার টিআইসি কে পাঠানো হয় এবং জানানো হয় উক্ত দিনে নির্বাচন করলে পুলিশি নিরাপত্তা প্রদান করা সম্ভব হবে না, কারণ স্থানীয় ল অ্যান্ড অর্ডার সামলাতে পুলিশ প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিকরা ব্যস্ত থাকবে।তাই ওই দিনটি নির্বাচনের জন্য বাতিল করে অন্য কোন দিন ধার্য করার আবেদন জানানো হয় ওই চিঠিতে। তারপরই বিতর্ক দানা বাদে।
বিরোধীদের অভিযোগ দীর্ঘ কয়েক বছর পরে ওই মাদ্রাসায় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের দিন ধার্য হয়েছিল। ভোটে তৃণমূলের পতন হবে জেনেই সেই ভোট বানচাল করতেই শাসক দল তৃণমূল নতুন খেলা শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসনকে ঢাল বানিয়ে।
এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন,জেলায় একের পর এক মাদ্রাসা নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূল ধরাশায় হচ্ছে। এদের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। আমরা সিপিএম এবং কংগ্রেস জোট মিলে ওই মাদ্রাসা নির্বাচনের জন্য ছয় জনপ্রার্থী দিয়েছিলাম। ভোট হলে শাসক দল তৃণমূলের হার নিশ্চিত ছিল।
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লকের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মনিরুল আলম জানান ২০১৫ সালে শেষ নির্বাচন হয়েছিল ওই মাদ্রাসায়। ২০১৮ সালে আবার নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল কিন্তু কংগ্রেস এবং সিপিএম মিলিতভাবে ওই মাদ্রাসায় ভোট করতে দেয়নি। আমরাই হাইকোর্ট থেকে ভোট করাবার জন্য অর্ডার নিয়ে এসেছিলাম।ওদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
তালগাছি সিনিয়র মাদ্রাসার টিআইসি এনামুল হক জানান,নির্বাচন স্থগিত করা নিয়ে পুলিশের চিঠি সর্বদলীয় মিটিং এর সময় হাতে পেয়েছি। প্রশাসন যেভাবে নির্দেশ দেবে সেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পুলিশি নিরাপত্তার