পুলিশের তাড়া খেয়ে রেললাইনে পড়ে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ল যুবক- অগ্নিগর্ভ পাতিপুকুর। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির শিকার পাতিপুকুর। ইতিমধ্যে,পাতিপুকুরকাণ্ডে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে দুই জন। সূত্রের খবর, পাতিপুকুরে পুলিশের তাড়া খেয়ে রেললাইনে পড়ে যায় এক যুবক।আর সাথে সাথেই ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকটি।
আর তার মৃত্যুর অভিযোগেই উত্তাল জনতা। তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে পাতিপুকুর এলাকায়।তারপরই পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়াএবং রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো দুই ই করে এলাকার মানুষ।কিন্তু এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী।আর বৃহস্পতিবারই এই পাতিপুকুরকাণ্ডে ২ জনকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশ।
সূত্রের খবর, বুধবার রাতে পাতিপুকুর রেল ব্রিজের উপরে কয়েকজন যুবককে জড়ো হতে দেখেন বিধানগর কমিশনারেটের অধীনস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। তারা ধারণা করেন, ওই জায়গায় অপরাধমূলক কোনও কাজের জন্যই দুষ্কৃীতিরা জমায়েত করছে। তাই,লেকটাউন থানার পুলিশ আধিকারিকরা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যই ব্রিজের উপরে উঠে আসেন। আচমকা পুলিশ দেখে ওই যুবকরা দৌড় দেয়।
আর তাঁদের মধ্যেই একজন লাইন পার করে পালানোর চেষ্টা করে।ঠিক তখনই উল্টো দিক থেকে আসা ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়েন ওই যুবক। ঘটনাস্থলে সাথে সাথেই তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে, এরপরেই পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারাপতর হতে থাকে।এদিকে,পাতিপুকুরে রেললাইনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই এলাকার মানুষজন অভিযোগ জানান,” কয়েকজন যুবক রেললাইনের পাশে বসে মদ্যপান করছিল। সেই সময় লেকটাউন থানার পুলিশ ধাওয়া দিলে পালাতে যায়। তখনই আচমকা ট্রেন চলে আসলে লাইনে পড়ে গেলে কাটা পড়ে সুভাষ নামে এক যুবক।” আর তারপরই বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে জনতা।এদিকে, খবরটি পায় উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিকরা।
তারা যানজট এড়াতে বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে দেয়। এদিকে, এলাকাবাসীরা আর একটি পুরোন কেসের প্রসঙ্গ তুলে এদিন দাবি করেছেন,” রিজওয়ানুরের দেহ যেখানে পাওয়া গিয়েছিল, তার কাছেই এই ঘটনাটি ঘটেছে।” এরপর, রেল পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় ময়না তদন্তের জন্য। বর্তমানে ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।