পুলিশের হাতে গ্রেফতার ভুয়ো শিক্ষক!। স্কুল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে এখনও উত্তাল হয়ে রয়েছে গোটা বাংলা।নিয়ম ভেঙে অনেকের অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়া নিয়ে এখনও পথে বসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বহু যোগ্য এসএসসি চাকরি প্রার্থী।এরই মধ্যে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরে পুলিশের হাতে গ্রেফতার এক ভুয়ো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,ওই ভুয়ো শিক্ষকের নাম মহম্মদ মহসীন।বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধিকাপুর এলাকায়। হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার তাকে গ্রেফতার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
জানা গেছে,ওই শিক্ষক মালদা জেলার মোথাবাড়ি এলাকার সেখ গিয়াসউদ্দিন নামে এক তৃনমূল নেতা কে ৪ লক্ষ টাকা দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগপত্র জোগাড় করে ছিলেন।২০১৭ সালের ১৬ মার্চ হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের কুমেদপুর বেতাহাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহ শিক্ষক পদে যোগদান করেন।৭-৮ মাস সেই স্কুলে শিক্ষকতাও করেন।এমনকি এক মাসের বেতনও তুলেছেন।
এরপর ওই শিক্ষকের সমস্ত ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন করার সময় ভুয়ো নিয়োগ পত্র ধরে ফেলে প্রশাসন।বন্ধ করে দেওয়া হয় তার বেতন।পরবর্তীতে বেতনের জন্য ওই ব্যক্তি কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হলে তদন্তের ভিত্তিতে তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়। পাল্টা তার নামে গ্রেফতারি পরোয়োনা জারি করে হাইকোর্ট।বুধবার রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন।বৃহস্পতিবার চাঁচল মহকুমা আদালতে তাকে তোলা হয়।
আরও পড়ুন – প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বড় সড় গাফিলতি
ধৃত ভুয়ো শিক্ষক মহসিন জানান,৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগপত্র জোগাড় করে দিয়েছিলেন মোথাবাড়ি এলাকার তৃণমূল নেতা শেখ গিয়াসউদ্দিন। এই ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় জেলা জুড়ে। ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক রফিকুল আলাউদ্দিন জানান,তিনি মাত্র এক থেকে দেড় মাস স্কুল করেছিলেন।তারপর থেকে স্কুলে আসতেন না।স্কুলে যোগদান করার সময় তার নিয়োগপত্র দেখেছিলেন।এরপর তার নিয়োগপত্র টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।তিনি কেন গ্রেফতার হয়েছে তা তিনি জানেন না।
জেলা তৃনমূল মুখপাত্র শুভময় বসু জানান, ভুয়ো শিক্ষক ধরা পড়েছে এটা প্রশাসন খুব ভালো কাজ করেছে।কে কি অভিযোগ করলো,কে কাকে টাকা দিল তার উত্তর তৃনমূল কংগ্রেস কেন দিতে যাবে।আইন আইনের কাজ করেছে।এতে তার বলার কিছু নেই।