হাওড়া- হাওড়ার বালটিকুড়িতে অঙ্গ এক্সপ্রেস থেকে পড়ে মৃত রাজমিস্ত্রি পিন্টু কুমারের দেহ রেললাইনে আট ঘণ্টা পড়ে থাকে। রাজ্য পুলিশ ও রেল পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে দেহ উদ্ধারে বিলম্ব হয়, যা স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ জন্মায়।রাত দুটো নাগাদ বালটিকুড়ি হল্ট স্টেশনের কাছে পিন্টু ট্রেনের দরজায় বসে থাকায় অসতর্কতায় পড়ে যান।সহযাত্রীদের চিৎকারে ট্রেন থামলেও, ট্রেনের চাকা তার মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দাসনগর থানা পুলিশ ও RPF দেহ উদ্ধার নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ায়। রেললাইনে দেহ থাকায় RPF-এর দায়িত্ব বলে থানা পুলিশ জানায়, কিন্তু RPF এলাকাটি থানার অধীনে বলে পালটা দাবি করে। ফলে, সোমবার সকাল পর্যন্ত দেহ রেললাইনে পড়ে থাকে; এমনকি একাধিক ট্রেন তার ওপর দিয়ে চলে বলে অভিযোগ।
স্থানীয়রা পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেন। সকালে RPF অবশেষে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। দাসনগর থানা ও RPF কোনো মন্তব্য করেনি। ঘটনা প্রশ্ন তুলেছে-দায়িত্ব নির্ধারণে সমন্বয়হীনতা কেন? এই ঘটনা রেল নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক দক্ষতার ঘাটতি প্রকাশ করে।
