পুলিশ হেফাজায় মৃত্যুর ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট কন্ট্রোল রুম গঠনের পরামর্শ

পুলিশ হেফাজায় মৃত্যুর ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট কন্ট্রোল রুম গঠনের পরামর্শ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

দিল্লি – সোমবার শীর্ষ আদালতের একটি ডিভিশন বেঞ্চ—বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতা—থানাগুলোর সিসিটিভি নজরদারির কার্যকারিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কন্ট্রোল রুম গঠনের একটি বিকল্প ব্যবস্থা ভাবতে বলেছেন। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, বর্তমানে কর্তব্যরত অফিসাররা যখন নির্দেশ মেনেন তখন ক্যামেরা কাজ করে; কিন্তু ভবিষ্যতে কারও যদি ক্যামেরা বন্ধ করে দেওয়ার সুযোগ থাকে, তাহলে নজরদারির যে বিশ্বাসযোগ্যতা তা নষ্ট হবে।

বেঞ্চের বক্তব্য, এ ধরনের কন্ট্রোল রুমে মানবিক হস্তক্ষেপ থাকবে না — স্বাধীনভাবে কাজ করবে সিসিটিভি নেটওয়ার্ক। এই প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাপনা তৈরিতে দেশের আইআইটি’র মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাহায্য করার আহ্বানও করা হলো। আদালত জানতে চেয়েছেন, কীভাবে এমন একটি সিস্টেম তৎক্ষণাৎ কার্যকর করা যায় যাতে থানার ভেতরের ঘটনার নিয়ন্ত্রণ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়।

উদ্বেগের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, একটি হিন্দি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে গত আট মাসে রাজস্থানে পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় মোট ১১ জনের মৃত্যুয়ের তথ্য উঠে এসেছে। এরপর থানাগুলো থেকে সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়ায় নানা অজুহাত দেওয়া হয়—কেউ বলছে ক্যামেরা খারাপ, কেউ বলছে মেমোরি ফুল। পুলিশের এই দাবি ও গোপনীয়তার নানা যুক্তি দেখে গত ৪ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে।

এই প্রেক্ষাপটে বেঞ্চ স্মরণ করিয়েছেন, ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সব থানায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিল; একই সঙ্গে ইডি ও সিবিআই’র দফতরেও ক্যামেরা বসানোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু শুনানীর সময় আইনজীবী দুষ্যন্ত দাভে আদালতকে জানিয়েছেন যে, সেই নির্দেশ এখনও বহু রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মানেনি।

আদালত বলেছে, বিষয়টি নজরদারির সীমার মধ্যে আসে এবং শুধু নির্দেশ জারি করলেই হবে না—বাস্তবায়ন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য প্রযুক্তিগত, প্রশাসনিক ও স্বর্বোচ্চ পর্যায়ের তদারকি প্রয়োজন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top