পোল‍্যান্ডে গিয়ে আঘাত করে মিশাইল মৃত্যু দুই পুলিশ

পোল‍্যান্ডে গিয়ে আঘাত করে মিশাইল মৃত্যু দুই পুলিশ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

পোল‍্যান্ডে গিয়ে আঘাত করে মিশাইল মৃত্যু দুই পুলিশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার বলেছেন যে একটি ক্ষেপণাস্ত্র যা ন্যাটোর সুসম্পর্কিত পোল্যান্ডে গিয়ে পড়ে। যার ফলে দুজন পোলিশকে হত্যা করেছে রাশিয়ার ছোঁড়া মিশাইল। তিনি একে ‘অসম্ভব’ বলেছেন। তবে পোল্যান্ডকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। পোল্যান্ড জানিয়েছে যে মিসাইল তাদের দেশে আঘাত করেছে তা ‘রাশিয়ার তৈরি’।

 

ইউক্রেন সীমান্তের কাছে পোল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এই হামলায়। এই ঘটনার বিষয়ে আলচনার জন্য বুধবার সকালে ইন্দোনেশিয়ায় গ্রুপ অফ সেভেন এবং ন্যাটো নেতাদের একটি ‘জরুরি’ বৈঠক ডাকার পর বাইডেন এই কথা বলেন।রাশিয়া থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিক তথ্য এর বিরুদ্ধে কথা বলছে’।

 

তিনি আরও বলেন, ‘এর ট্র্যাজেক্টোরি লাইন বলছে যে রাশিয়া থেকে এই আক্রমণ অসম্ভব, তবে আমরা দেখব’ ইন্দোনেশিয়ায় গ্রুপ অফ ২০ শীর্ষ সম্মেলনের মাঝেই ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের খবর জানানো হয় তাঁকে। বুধবার ভোরে পোল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি আন্দ্রেজ ডুডাকে ‘গভীর সমবেদনা’ জানিয়ে ফোন করেন তিনি। বাইডেন ট্যুইটারে একটি পস্টের মাধ্যমে, ‘পোল্যান্ডের তদন্তের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন এবং সহায়তা’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং ‘ন্যাটোর প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্নিশ্চিত করেছেন’।

 

বাইডেন বলেন যে তিনি ডুডা এবং ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের সঙ্গে তার কথোপকথনের বিষয়ে বাকিদেরকে অবহিত করেছেন এবং জানিয়েছেন পোল্যান্ডের হামলার তদন্তকে সমর্থন করার জন্য সকলেই সম্মত ছিল। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করব যে ঠিক কী ঘটেছে তা আমরা খুঁজে বের করছি’। তিনি আরও বলেন, ‘এরপরে আমরা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপটি ঠিক করব’।তার হোটেলের একটি বলরুমে একটি বড় গোল টেবিলে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জি-৭ এর নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানান।

আরও পড়ুন – ফুটবল বিশ্বকাপের বিভিন্ন আশ্চর্য জনক ঘটনা

এর মধ্যে রয়েছে কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এবং ন্যাটো মিত্র স্পেন এবং নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রীরা।পোলিশ বিদেশ মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়ার তৈরি। কিন্তু পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ডুডা এর উৎপত্তি সম্পর্কে আরও বেশি সতর্ক ছিলেন। তিনি বলেছেন যে কে অথবা কারা এটি তৈরি করেছে তা নিশ্চিতভাবে জানে না কর্মকর্তারা।

 

তিনি বলেছিলেন যে এটি ‘সম্ভবত’ রাশিয়ার তৈরি, তবে এটি এখনও যাচাই করা হচ্ছে। যদি নিশ্চিত করা হয়, ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর এটিই প্রথম কোনও ন্যাটোভুক্ত দেশের উপর রাশিয়ার হামলা। ন্যাটো জোটের ভিত্তি হল এই নীতি যে এর একজন সদস্যের বিরুদ্ধে আক্রমণ তাদের সকলের উপর আক্রমণ। অন্যদিকে, মস্কো এর দায় অস্বীকার করার পর পোল্যান্ড ওয়ারশাতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে এর ব্যাখ্যার জন্য তলব করেছে। দেখা যাক এরফলে রাষিয়া পোল‍্যান্ড সংঘাত সৃষ্টি না হয়।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top