বিজেপি প্রার্থী মিনাদেবীকে মারধর ও পোশাক ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি প্রার্থী মিনাদেবী পুরোহিতকে হেনস্থা করা হয় বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে নিদল প্রার্থীর অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মীরা তাঁকে মারধর করেছে। জোগাবাগানে তাঁকে হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই মীনাদেবীকেই নয়, দুই নির্দল প্রার্থীকেও মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ তির শাসকদলের বিরুদ্ধে।
যদিও এহেন অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, কেউ এমন কাজ করেনি। মীনাদেবী পুরোহিত নিজে শাড়ি, ব্লাউজ ছিঁড়ে তা শাসকদলের বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা বলে অভিযোগ তৃণমূল প্রার্থীর। শুধু তাই নয়, হেরে যাবে বলে এহেন অভিযোগ বলেও দাবি তৃণমূলের। বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে বিজেপি ভোট দখলের চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ তৃণমূলের। আর এই অভিযোগ পালটা অভিযোগ ঘিরে চরম সংঘাত বুথের বাইরে। থমকে যায় ভোটপর্বও। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী।
অভিযোগ, এদিন ভোটগ্রহণ শুরু হতেই বুথে চড়াও হয় শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বুথে চড়াও হয়ে তারা মীনাদেবী পুরোহিত সহ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেয়। এক বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, মেরে তাঁর ঠোঁটও ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, মীনাদেবী পুরোহিত অভিযোগ করলেন, “তৃণমূলের প্রার্থী আমার সাথে ধাক্কাধাক্কি করে। আমাকে বুথে যেতে দিচ্ছে না। আর একটা গুন্ডা মেয়েকে নিয়ে এসেছে। সে আমার শাড়ি ছিঁড়ে দিয়েছে, ব্লাউজ ছিঁড়ে দিয়েছে। ধাক্কা দিয়েছে। বুকে মেরেছে।” গোটা এলাকাটাই তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী দখল করে রেখেছে বলে দাবি তাঁর। বুথে গন্ডগোলের জেরে মীনাদেবী পুরোহিতের পোশাক ছেঁড়ার ঘটনা সামনে আসতেই হই চই পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
আর ও পড়ুন তপ্ত পুরভোট, এক নজরে দেখে নিন কোন ওয়ার্ডে কি অভিযোগ
উল্লেখ্য, কার্যত ছবি বদলানো বঙ্গের ভোট রাজনীতির। তৃণমূলের তরফে একের পর এক কড়া নির্দেশিকা। এমনকি অশান্তি করলে নেতা-কর্মীদের বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এরপরেও ছবিটা বদলালো না। তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ শাসকদলের। যদিও একটি ঘটনারও প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের তরফে পাওয়া যায়নি। এমনকি ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বেলা বাড়তেই শহরের বিভিন্ন অংশ থেকে উত্তেজনার খবর সামনে আসছে। কোথাও ভুয়ো ভোটার ধরার অভিযোগ। আবার কোথাও অবাধ ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ, এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ বিরোধীদের।