লিংক না থাকার কারণে পোস্ট অফিসে গ্রাহকদের ভোগান্তি নদীয়ায়। ব্যাঙ্ক বেসরকারীকরণের আশঙ্কা! তাই মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সঞ্চয়ের সবটুকু সুরক্ষিত করতে পোস্ট অফিসের দারস্থ হচ্ছেন অনেক গ্রাহকই। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি। পোস্ট অফিস গুলি ঝাঁ-চকচকে আধুনিকীকরণ করা হলেও পরিষেবার বেলায় লবডঙ্কা, এমনটাই মনে করছেন গ্রাহকরা।
আরও পড়ুন – লাল চা, ‘গ্রিন টি’-র পর এবার বাঙালির কাপে পড়তে চলেছে নীল চা
উল্লেখ্য, একসময় শুধু খাম পোস্টকার্ড ইংল্যান্ড লেটার বিক্রি করা পোস্ট অফিসের মাথায় এখন গুরু দায়িত্ব, মানিঅর্ডার থেকে মানি ট্রান্সফার, পার্সেল স্থানান্তর করণ থেকে গঙ্গাজল বিক্রি সবেতেই ভরসা অনলাইন। সরকারি নিজস্ব বিএসএনএল নেটওয়ার্ক বিভিন্ন কোম্পানি ভাড়া নিয়ে রমরমা ব্যবসা করলেও তাদের লিংক থাকে না প্রায়শই। এমনই দাবি করছেন শান্তিপুর কাশ্যপপাড়া পোস্ট অফিসের গ্রাহকেরা। গ্রাহকদের দাবি, সরকারি ব্যবস্থায় টাকা রাখার উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকলে বাধ্যতামূলক চিটফান্ডের শিকার হবেন তারা। গ্রীষ্মের প্রচন্ড রোদের মধ্যেও বয়স্করা লাঠির উপর ভর করে এসে ফিরে যাচ্ছেন প্রায় প্রতিদিন।
অন্যদিকে এই অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিলেন পোস্ট মাস্টার। জানা গেল, দুটি নেটওয়ার্ক কানেকশন এর মধ্যে একটি বন্ধ হয়েছে বছর খানেক আগেই, বর্তমানে যেটা চলছে সেটা ও ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই অবস্থা। পাসবুক আপডেট টাকা তোলা জমা দেওয়ার মত ন্যূনতম কাজ করতেও লাগে এক সপ্তাহ। অনেকে তো হাল ছেড়েছেন, বারবার ফেরত যাওয়ার কারণে। সকলেই তাকিয়ে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের দিকে , তারাও নাকি ধৈর্য হারাচ্ছেন বারবার জানানোর কারণে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন তাহলে, জনসাধারণের কষ্টার্জিত অর্থের নিরাপত্তা জোগাতে ব্যর্থ সরকার সার্ভিস চার্জ নেওয়া সত্ত্বেও পরিষেবা দিতে পারছে না, সেখানে বেসরকারি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যার নিয়ন্ত্রণ করবেন কি করে? পোস্ট অফিসে