বিশ্বভারতীর মেলা বন্ধের প্রতিবাদ, হবে বিকল্প পৌষমেলা। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পথে নামল বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ। পৌষমেলা বন্ধের প্রতিবাদে পদযাত্রা থেকে বিকল্প পৌষমেলার ঘোষণা করল তারা। তাদেরকে সহযোগিতা করছে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি হস্তশিল্পী ও লোকসংস্কৃতি সম্প্রদায়।
আগামী ৭ ই ( ২৩ শে ডিসেম্বর থেকে ২৭ শে ডিসেম্বর ) সাড়ম্বরে বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে পৌষমেলার আনন্দ পাবেন সাধারণ মানুষ। বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সম্পাদক সামিরুল ইসলাম জানিয়েছেন , বীরভূম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বোলপুর ডাকবাংলা মাঠ পৌষ মেলা আয়োজন করার জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আমাদের হাতে পাঁচ দিনের হাতে পেয়েছি।
রাজ্য সরকার ও বীরভূমের জেলা শাসক এবং বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি সকলকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ওনাদের সহযোগিতা ছাড়া এই মেলা সফল করা সম্ভব ছিল না।গতবছর করোনা সংক্রমনের জেরে পৌষ মেলা স্থগিত রেখেছিল। কিন্তু চলতি বছরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলেছে। করোনা বিধি মেনে পৌষ মেলা আয়োজন করতে পারত উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী , কিন্তু উনি নিজের জেদ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে পৌষ মেলার ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছেন। সর্বস্তর থেকে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কাছে আবেদন করা হয়েছিল নির্দিষ্ট সময়ে পৌষ মেলায় যাতে আয়োজন করা যায় সে বিষয়টি ভেবে দেখতে।
কিন্তু উনি কোন প্রকার সারা দেননি। এমনকি বোলপুর পুরসভার তরফে পুরো প্রশাসক পর্ণা ঘোষ লিখিত আকারে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কাছে আবেদন করেছিলেন , পুরসভাকে দায়িত্ব দিলে হবে তারা সুষ্ঠুভাবে পৌষ মেলার আয়োজন করতে ইচ্ছুক। কিন্তু সেই আবেদনের কোন উত্তর দেবার প্রয়োজন মনে করেনি খামখেয়ালী উপাচার্য।
আর ও পড়ুন জলপাইগুড়ির ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানে ভাল্লুকের আতঙ্ক
বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধক্ষ্য সুব্রত ভকত বলেন , বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অত্যন্ত নির্বোধ ও অমানবিক একজন মানুষ। বিশ্বভারতীর পৌষ মেলা বন্ধ হয়ে যাবার ফলে কয়েক হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পথে আর্থিক অনটনের মুখে পড়বেন। সামাজিক দায়বদ্ধতা বলে একটি বিষয় রয়েছে।
তাই বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিকল্প পৌষ মেলার সমস্ত রকম আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর। নির্দিষ্ট দিনে পৌষ খুশির হাওয়া ব্যাবসায়ী, বাউল, ফকির থেকে শুরু করে সব মহলে। স্থানীয় বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা জানিয়েছেন , বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ ব্যবসায়ীদের দুর্দিনে দাঁড়িয়ে থেকে পৌষমেলার আয়োজন করছে। উনাদেরকে সাধুবাদ জানাই। মেলা করতে গিয়ে যদি কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হয় অবশ্যই আমাদের তরফ থেকে সম্পূর্ণরূপে সাহায্য করা হবে।