প্যাকেট জাত সামগ্রীতে কার্যকর অতিরিক্ত ৫ শতাংশ কর, নাভিশ্বাস ক্রেতা, বিক্রেতা থেকে সরকারি কর্মচারীদের। এমনিতেই পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে জিনিস পত্রের দাম ছিল আকাশ ছোঁয়া। উপরে বজ্রাঘাতের মত নিত্যপ্রয়োজনীয় প্যাকেট জাত খাদ্যদ্রব্যের উপর বসল অতিরিক্ত GST। যাকে ঘিরে সমস্ত জায়গার পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম উদ্বেগ। উল্লেখ্য, বিভিন্ন প্যাকেট জাতীয় খাদ্য দ্রব্যে বাড়তি পাঁচ শতাংশ হারে লাগু হয়েছে GST।
যা শোনা মাত্রই মাথায় হাত পরেছে ব্যবসায়ী, ক্রেতা সহ চাকুরীজীবিদের। প্যাকেটবন্দি খাবার যেমন বাটার মিল্ক, বিভিন্ন গুড়, অপ্রক্রিয়াজাত চিনি, প্রাকৃতিক মধু, মুড়ি, চিড়ে, খই, মুড়কি, বার্লি, ওডস, চাল, গম, আটা সহ বিভিন্ন রকম খাদ্য দ্রব্যে পাঁচ শতাংশ হারে GST বসিয়েছে কেন্দ্র সরকার। আর এতেই বিপাকে পড়েছে সকলে। পকেটে টান পরবে মধ্যবিত্তের। এমনি সমস্যার কথায় শোনা গেলো ইটাহার ব্লকের ক্রেতা, বিক্রেতা থেকে শুরু করে সরকারি কর্মচারীদের মুখে। সাধারণ মানুষের স্বার্থে প্যাকেট জাত সামগ্রীর উপর থেকে অবিলম্বে সরকারের কাছে বাড়তি ৫ শতাংশ GST প্রত্যাহারের আবেদন জানান সরলে।
উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের এক ব্যবসায়ী অমল দাস জানান, হঠাৎ করে প্যাকেট জাত সামগ্রীর দামের উপরে ৫ শতাংশ কর কার্যকর করে মধ্যবিত্ত দের সমস্যায় ফেলে দিল সরকার। এখন তো সব প্যাকেট জাত। তাই ক্রেতারা সমস্যায় পরবে। যার প্রভাব সরাসরি এসে পরবে আমাদের মত বিক্রেতাদের উপরে। তাই সকলের কথা ভেবে বাড়তি GST প্রত্যাহারের অনুরোধ জানাচ্ছি।
ইটাহারের এক ক্রেতা চন্দ্র শেখর সরকার বলেন, গ্রামের মানুষদের কাছে GST মানে একটা বোঝা। তাই গ্রামের গরীব মানুষদের কথা মাথায় রেখে বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় প্যাকেট জাত সামগ্রীর উপর থেকে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ কর প্রত্যাহার করার আবেদ জানাবো।
আরো এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক তথা সরকারি চাকুরীজীবি অজয় চক্রবর্তী জানান, কেউ মানুষের কথা ভাবছে না। শিক্ষকদের ডিএ না বাড়িয়ে প্যাকেট জাত জীনিস পত্রের দামের উপরে কর বাড়াচ্ছে সরকার। ফলে সমস্যায় পরতে হচ্ছে আমাদের মত মানুষদের। অন্যদিকে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের এবার চরম সমস্যায় পরছে হতে পারে।