এদিন ভবানিপুরের শেষমুহূর্তের প্রচার যা বললেন মমতা। ভবানীপুর উপ-নির্বাচনের আর মাত্র ৪ দিন বাকি। জোর কদমে চলছে শেষমুহূর্তের প্রচার। রবিবার ছুটির বিকেলে প্রচার সারলেন মুখ্যমন্ত্রী, সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। এদিন প্রচার ভবানীপুরের মঞ্চে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদ করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। বিশেষত, ভবানীপুরের এলাকার মন জয়কেই প্রাধান্য দেন এদিন। শুরুতেই আম্ফান পরিস্থিতির উল্লেখ করেন তিনি। ভবানীপুরের মানুষের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “আমার ভবানীপুর কেন্দ্রই ছোটোখাটো ভারতবর্ষ।
পাঞ্চাব, সিন্ধু, গুজরাট, মারাঠা এখানে সবধরনের মানুষ থাকেন। অসমে মানবাধিকার নেই, কিন্তু যায় না NHRC,” বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি চক্রান্ত করে শিকাগো, কেমব্রিজে যেতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেন মমতা।ভবানীপুরে প্রচার মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতার বক্তব্য,”যেদিন আম্ফান হচ্ছিল, যখন লেজ কলকাতা থেকে বেরিয়ে গেছে তখন আমি নবান্ন ছেড়েছি।
আর ও পড়ুন দিঘায় সমুদ্রে তলিয়ে ফের পর্যটকের মৃত্যু, তলিয়ে গেল ২ যুবক
শশী শেখর বসু রোড, বিজয় বসু রোড, মদন পাল রোডের ওখান দিয়ে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট হয়ে আমি দেখে গেছিলাম। ওখানে মন্দির, গাছ ভেঙে পড়ে গেছিল। আমি যতটা দেখার করে দিয়েছি।” “চেতলার রেড লাইট এলাকা, ট্রান্সজেন্ডারদের কাছেও গেছি তাঁরা খাবার পাচ্ছে কিনা দেখেছি। হকারদেরও দু’হাজার টাকা করে দিয়েছিলাম। এমন সামান্য সামান্য কাজেও অনেক লাভ হয়”, জানান মমতা।
এদিন ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে নিশানা করেন। গ্যাসের দাম থেকে ত্রিপুরায় তৃণমূলের ওপর ‘অত্যাচার’-এর বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন মমতা। বিজেপিকে জুমলা পার্টি বলে দেগে দেন মুখ্যমন্ত্রী। “কখনও এনআরসি, কখনও সিএএ-র কথা বলে নাম বাদ দিয়ে দেবে। হেরে গিয়ে এজেন্সি পাঠাচ্ছে বিজেপি। সিপিএম এই রাজ্যে অনেক অত্যাচার চালিয়েছে।
আমি এজন্য কংগ্রেস ছেড়ে দিয়েছি, যে সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে আঁতাত ছিল, এখনও আছে। বিজেপির সঙ্গেও আছে। আমাদের সব কর্মীদের পিটিয়েছে। তবুও আমারা লড়ে যাচ্ছি। এছাড়াও এদিন মমতা বন্দোপাধ্যায় আগামী নিম্নচাপ নিয়ে সকলকে সচেতন থাকার বার্তা দেন।তার সঙ্গে এলাকার সকল মানুষকে কোভিড ভ্যাকসিনের টিকা দেওয়া নেওয়ার পরামর্শ দেন।এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন সঙ্গীতশিল্পী তথা গায়ক নচিকেতা।
উল্লেখ্য, ভবানীপুর উপ-নির্বাচনের আর মাত্র ৪ দিন বাকি। জোর কদমে চলছে শেষমুহূর্তের প্রচার। রবিবার ছুটির বিকেলে প্রচার সারলেন মুখ্যমন্ত্রী, সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। এদিন প্রচার ভবানীপুরের মঞ্চে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদ করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। বিশেষত, ভবানীপুরের এলাকার মন জয়কেই প্রাধান্য দেন এদিন। শুরুতেই আম্ফান পরিস্থিতির উল্লেখ করেন তিনি। ভবানীপুরের মানুষের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “আমার ভবানীপুর কেন্দ্রই ছোটোখাটো ভারতবর্ষ।