চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়িতে। করোনায় কাজ হারিয়েছে অনেকেই। তাঁর মাঝেই আর্মির জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে শুনেই প্রলোভনে পা দেয় একদল যুবক। তবে এখনও মেলেনি চাকরি, মেলেনি চাকরির জন্য দেওয়া টাকাও। চাকরি দেওয়ার নাম করে এভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠলো এবার জলপাইগুড়িতে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বহু মানুষ। শনিবার রাতে আটক করা হয় অভিযুক্তকে। অভিযোগ, অভিযুক্ত প্রতারক যুবক জলপাইগুড়ির শাসকদলের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলে প্রভাব বিস্তার করে প্রতারণা চক্রের জাল ছড়িয়েছিল। অভিযুক্তের নাম পুলক বর্মণ। জলপাইগুড়ির মোহিতনগরের বাসিন্দা।
অভিযোগকারীরা জানান, চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহু যুবকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল সে। চাকরির জন্য বিভিন্ন নথিপত্র তৈরি, পরিচয়পত্র, ইউনিফর্ম তৈরি করার কথা বলে অভিযুক্ত টাকা নিত। কারও কাছে দশ হাজার, তো কারও কাছে ত্রিশ হাজার। বেশ কিছুদিন কেটে যাওয়ার পর টাকা দেওয়া যুবকেরা বুঝতে পারেন, তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। এরপরই তাঁরা টাকা ফেরত চান পুলকের কাছে। অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার সময় বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে এবং নিজের প্রভাব বিস্তার করতে জলপাইগুড়ির
আরও পড়ুন – ‘যেসব নেতারা অস্বস্তি ঘটাচ্ছে তাদের ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া কি শুরু হল?’ তৃনমূলকে খোঁচা তথাগতের
শাসকদলের একাধিক নেতার নাম নিত সে। প্রতারিতরা টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চেপে ধরলেও সেই নেতাদের নাম নিয়ে সে পালটা হুমকি দিত। পুলিসও তার কিছুই করতে পারবে না বলে জানাত অভিযুক্ত। বেশিরভাগ সময়ই সে গা ঢাকা দিয়েই থাকত। আর এই কাজে তাকে সাহায্য করত তার পিসি ও বোন। শনিবার তাকে শহরের বয়েলখানা বাজারে দেখতে পান প্রতারিত কয়েকজন যুবক। এরপরই তাকে ঘিরে ধরে তাঁর কাছ থেকে টাকা ফেরত চান তাঁরা। কিন্তু অভিযুক্ত টাকা ফেরত দিয়ে অস্বীকার করে। এরপর তাকে ধরে প্রতারিতরা মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর তারাই অভিযুক্তকে ধরে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে আসে। অভিযোগ দায়ের করা হয় তার বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। সোমবার অভিযুক্তকে জলপাইগুড়ি আদালতের পেশ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।