স্বাস্থ্য – প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ার অভ্যাস শরীরের জন্য হতে পারে এক অসাধারণ স্বাস্থ্য সাথী। চিকিৎসকদের মতে, আপেলে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, ভিটামিন ‘সি’ এবং পটাশিয়াম, যা শরীরকে রাখে সুস্থ ও রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। বিশেষজ্ঞরা বলেন, “অ্যাপল ডে কিপস দ্য ডক্টর অ্যাওয়ে”—এই প্রবাদটির পেছনে রয়েছে বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তি।
আপেল খেলে হজম শক্তি বাড়ে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমে, কারণ এতে থাকা ডায়েটারি ফাইবার অন্ত্রে গ্যাস বা বর্জ্য জমতে দেয় না। এছাড়াও আপেলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যেমন কুয়েরসেটিন ও পলিফেনলস হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। নিয়মিত আপেল খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও আপেল অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনির মাত্রা শরীরে রক্তে শর্করার ভারসাম্য রক্ষা করে। আপেল খেলে ক্ষুধা কমে এবং তা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। তাই যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য আপেল একটি আদর্শ ফল।
এছাড়াও, আপেল দাঁতের যত্নেও সহায়ক। এটি দাঁতের এনামেল পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে এবং মুখের দুর্গন্ধ কমায়। আপেলের ত্বকে থাকা ভিটামিন ‘সি’ ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং বার্ধক্যজনিত বলিরেখা হ্রাস করে।
চিকিৎসকরা বলছেন, বাজার থেকে আপেল কেনার সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন ফলটি রাসায়নিক মুক্ত হয়। ভালোভাবে ধুয়ে খাওয়া উচিত, কারণ অনেক সময় ফলের গায়ে থাকা ওয়াক্স বা কীটনাশক শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, আপেল শুধু একটি ফল নয়—এটি একটি প্রাকৃতিক ওষুধ। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একটি আপেল রাখলে শরীর যেমন সুস্থ থাকবে, তেমনই অনেক বড় অসুখের ঝুঁকি থেকেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
