বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন বছর সহবাস, বিয়ের প্রশ্ন করতেই বেধড়ক মারধর যুবতীকে, আদালতের দ্বারস্থ যুবতী। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক যুবতীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ। অবশেষে বিয়ের কথা বলতেই ওই যুবতীকে বেধড়ক মারধর অভিযুক্ত যুবক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
পুলিশ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ ওই যুবতী। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়া রানাঘাট থানার চন্দ্রপুর এলাকায়। জানা যায় রানাঘাট থানার তারাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চন্দ্রপুর এলাকায় বাসিন্দা ওই যুবতী। ১১ বছর আগে তার বিয়ে হয়েছিল। তার একটি নাবালিকা কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের দুই বছর পর তার স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যায়।
তারপর থেকে স্বামীর সঙ্গে আর কোন সম্পর্ক নেই তার। তিন বছর আগে তারা পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাজীপুর এলাকার যুবক কৃষ্ণ গোপাল নায়েক তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। সেইমতো ওই যুবতীর সঙ্গে ওই যুবকের মেলামেশা শুরু হয়। যুবতীর অভিযোগ অভিযুক্ত কৃষ্ণ গোপাল তার বাড়িতে নিত্যদিন আসা-যাওয়া করতো। শুধু তাই নয় ওই যুবতী ও কৃষ্ণ গোপালের বাড়ি নিয়মিত যেত।
তিন বছর ধরে এই সম্পর্ক চলার পর ওই যুবতী যখন বিয়ের কথা বলে দিন কয়েক আগে তাকে রাস্তায় মারধর করে বলে অভিযোগ অভিযুক্ত কৃষ্ণ গোপাল। ওই যুবতী পরবর্তীকালে যখন কৃষ্ণ গোপালের বাড়ি যায় তখন ওই যুবক এবং তার পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। এর পরেই ওই যুবতী অবশেষে রানাঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
আর ও পড়ুন সুন্দরবনে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার
কিন্তু পুলিশ কোনরকম পদক্ষেপ না নেওয়ায় অবশেষে এসডিপিওর দ্বারস্থ হয়। কিন্তু রানাঘাট এসডিপিও অভিযোগ নিতে অস্বীকার করায় বাধ্য হয়ে রানাঘাট মহাকুমা আদালতের দ্বারস্থ হয় ওই যুবতী। যদিও ওই যুবতী তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত যুবকের পরিবার।
তারা বলেন মারধরের ঘটনাটি মিথ্যা। তবে ঘটনার কথা কিছুটা স্বীকার করে নিয়ে অভিযুক্তর বাবা বলেন তার ছেলেও কোনদিন এই সম্পর্কের কথা বলেনি। তবে তার ছেলে কৃষ্ণগোপাল এবং ওই যুবতী একই ক্লাসে পড়তে বলে পরিচয় হয়েছিল। ওই যুবতী চাইছেন হয় ওই যুবক তাকে বিয়ে করুক না হলে আইন তাকে উপযুক্ত শাস্তি দিক ।