প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ! স্নাতক পাত্রীর মনমতো বিয়ের পাত্র না মেলায় আত্মহননের পথ বাছলো যুবতী। স্নাতক পাত্রীর জন্য মনমতো সরকারি চাকুরে পাত্রী না মেলায় শেষ পর্যন্ত মর্মাহত হয়ে আত্মঘাতী হলেন খোদ পাত্রী নিজেই। এদিন বিকেলে এই ঘটনায় গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে মুর্শিদাবাদের বাসুদেবপুর এলাকায়। মৃত ওই যুবতীর নাম শিল্পী ঘোষ (২৩)।
এলাকার সকলেই তাকে শান্ত স্বভাবের মেয়ে বলেই জানত।সেই মত এমন ঘটনায় হতবাক বনে গিয়েছে গোটা গ্রামের মানুষ। জানা যায়, কলা বিভাগে স্নাতক উত্তীর্ণ হওয়ার পরে সম্প্রতি শিল্পীর পরিবারের লোকজন তার বিয়ের জন্য পাত্র দেখতে শুরু করে। এই পর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও কোনো প্রার্থী শিল্পীর মনে ধরছিল না। শিক্ষিতা ওই যুবতীর একটাই ইচ্ছে ছিল। বিয়ে যদি করতে হয় তাহলে কেবলমাত্র সরকারি চাকুরিজীবি ছেলের সঙ্গে বিয়ে করবে সে।
পরিবারের লোকজনও শিল্পীর আবদার মেনে নিয়ে তন্ন তন্ন করে সরকারি চাকরিজীবী পাত্রীর খোঁজে গ্রামের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।কিন্তু বহু মাস উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও সরকারি কোন চাকরিজীবী পাত্র শিল্পীর কপালে জোটেনি। আর এই নিয়েই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওই যুবতী। এই পর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও আচমকাই নিজের গ্রামের বাড়ির চিলেকোঠার ঘরে এদিন গলায় ফাঁস লাগিয়ে সিলিংয়ে ঝুলে পড়ে শিল্পী।
আরও পড়ুন – ফুটবল বিশ্বকাপের বিভিন্ন আশ্চর্য জনক ঘটনা
বাড়িতে বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরেও তার কোনো হদিস না মেলায় সকলের নজর যায় ওই ঘরের দিকে।তারপরেই পাড়া-প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙ্গে শিল্পীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় সকলে। গ্রামের বাসিন্দা বিনয় সাহা বলেন,”আমরা শিল্পীকে ছোট থেকেই হাসিখুশি মিশুকে স্বভাবের মেয়ে হিসেবে দেখে এসেছি।ও যে মনে মনে এতটা মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে এমন কাণ্ড করবে তা আমরা বিশ্বাসই করতে পারছি না”। প্রত্যাশা পূরণে