প্রথমবার কোভিডের থাবা উত্তর কোরিয়ায়! অবশেষে কিম জং উনের দেশে মিলল প্রথম কোভিড আক্রান্তের হদিশ।বিগত দু’বছর সময়ে করোনা অতিমারি কাঁপিয়ে দিয়েছে সারা পৃথিবীকে। ২০২২ এও চীন সহ বিভিন্ন দেশেই কোভিড এখনও চলছে। কিন্তু এহেন পরিস্থিতিতে প্রথমবার কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়ল উত্তর কোরিয়ায়। এরপরই সে দেশে কার্যত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সূত্রের খবর,একনায়ক কিম জং উনের দেশে জারি হয়েছে কঠোর লকডাউন। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য, ২০১৯ সালে চিনে প্রথম করোনাভাইরাস পাওয়া যায়।
পুরো ২০২০ সাল জুড়ে তা বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু, উত্তর কোরিয়ায় কোভিড সংক্রমণ ছড়ায়নি তখন।অন্তত সে দেশের তরফে এই টাই দাবি করা হয়েছিল। বরং যখন বিশ্বজুড়ে কোভিডের দাপাদাপি চলছিল সে সময় সীমান্ত লাগোয়া এলাকা কার্যত অবরুদ্ধ করে দিয়েছিল কিম প্রশাসন।সূত্রের খবর, পিয়ংইয়ং-এ জ্বরে আক্রান্ত কয়েকজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তারপরই কোভিড সংক্রমণের হদিশ মেলে। কোরিয়ার সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের হদিশ মিলেছে।
আর ও পড়ুন রামগঙ্গা নদী বাঁধ তৈরিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ
তবে, করোনায় কতজন আক্রান্ত হয়েছেন, সেই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়নি।উত্তর কোরিয়ার এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বৈঠক করেছেন শাসক কিম জং উন। জানা গিয়েছে,করোনাভাইরাস রুখতে ব্যাপক কড়াকড়ি বিধিনিষেধ প্রয়োগের বার্তা দেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে।এছাড়াও, ওই বৈঠক থেকে কিম বার্তা দিয়েছেন, ”অল্প সময়ের মধ্যে ভাইরাসকে নির্মূল করাই লক্ষ্য।”কিন্তু অন্যদিকে, পর্যবেক্ষক মহলের মত, বহুদিন ধরেই করোনার প্রকোপ রয়েছে উত্তর কোরিয়ায়।
কিন্তু তা কখনই স্বীকার করা হয়নি। এখনও পর্যন্ত সে দেশে কোভিডের টিকাকরণ শুরু হয়নি বলেও জানা গিয়েছে।এমনকি চিনের কোভিড টিকা ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রস্তাবও নাকচ করে দিয়েছে কিম প্রশাসন বলে সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে , “করোনার সংক্রমণ রুখতে টিকাকরণ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। সেক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ায় টিকাকরণ শুরু না হওয়ায় সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।”