প্রধানমন্ত্রীর জন্য মেডিকেল কলেজের উদ্বোধন পিছিয়ে গেল। জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-সহ রাজ্যের ছ’টি মেডিক্যালে ১৪ নভেম্বর ‘ভার্চুয়াল’ মাধ্যমে একটি অনুষ্ঠানে পঠন-পাঠনের সূচনা করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছিলেন। কিন্তু আচমকাই ওই কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে বলে কলেজ সূত্র জানিয়েছে। তবে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনী কর্মসূচি বাতিল হল কেন, কলেজ-কর্তৃপক্ষ তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যের নতুন মেডিক্যাল কলেজগুলি উদ্বোধন করবেন বলে আগে থেকেই কর্মসূচি নির্দিষ্ট আছে। মোদীর অনুষ্ঠানের আগেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনী কর্মসূচি স্থির হওয়ায় প্রস্তুতি চলছিল জোরকদমে। মমতার অনুষ্ঠান বাতিলের কথা কলেজ-কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় শুক্রবার দুপুরে।এর আগে রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল, ১৪ নভেম্বর বেলা ১টায় কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মমতা জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ-সহ রাজ্যের ছ’টি নতুন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পঠনপাঠনের শুভারম্ভ করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছিল, এই ছ’টি নতুন মেডিক্যাল কলেজের প্রতিটিতে ১০০ জন ছাত্রছাত্রী এমবিবিএস পড়ার সুযোগ পাবেন। এর ফলে রাজ্যে আরও ৬০০টি এমবিবিএস আসন বাড়বে। এই প্রকল্পের মোট নির্মাণ-ব্যয় ১৫৫৬.৫৭ কোটি টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছিল সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে। মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন-সহ তাতে মোট তিনটি নতুন প্রকল্পের সূচনা করারও উল্লেখ ছিল।
আরও পড়ুন – ত্রিকোণ প্রেমের পরিনীতিতেই কি গৃহবধূর মৃত্যু, আতঙ্কিত শহরবাসী
অন্য দু’টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে টেলি মেন্টাল হেল্থ পরিষেবা ও পার্বত্য অঞ্চলে ১৬ স্লাইসের সিটি স্ক্যান মেশিনের উদ্বোধন। তবে এই দুই প্রকল্পের সঙ্গে জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি কলেজ-কর্তৃপক্ষের।শুক্রবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রধানমন্ত্রীকে লেখা একটি চিঠি টুইট করেন। সেই চিঠিতে নতুন মেডিক্যাল কলেজগুলি মূলত কেন্দ্রের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া অর্থে তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি। রাজ্য সরকার ‘চক্রান্ত’ করে আগে সেগুলির উদ্বোধন করছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। প্রধানমন্ত্রীর জন্য