প্রধানমন্ত্রী – প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি এনডিটিভি কনক্লেভে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভারতকে নকশালমুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “নকশালমুক্ত ভারত সেই দিন আর বেশি দূরে নয়।” একই সঙ্গে কংগ্রেসকে দোষারোপ করেন শহুরে নকশালদের পোষণের জন্য। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস সরকারের সময় শহুরে নকশালরা এতটা প্রভাবশালী ছিল যে মাওবাদী সন্ত্রাসের প্রকৃত ভয় দেশবাসী উপলব্ধি করতে পারত না।
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, দেশজুড়ে বহু মানুষ মাওবাদী সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। কেউ পা হারিয়েছেন, কেউ চোখ বা হাত, নিরাপরাধ মানুষজন মারাত্মক হামলার শিকার হয়েছেন। তবু বিরোধী দল তাঁদের দুর্দশার প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দেয়নি। মোদী বলেন, বিগত ৭৫ ঘণ্টায় ৩০৩ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেছেন। দেশের মধ্যে এখন মাত্র তিনটি রাজ্যে বামপন্থী চরমপন্থার প্রভাব রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ১১ বছর আগে প্রায় ১২৫টি জেলা মাওবাদী অধ্যুষিত ছিল, যা আজ কমে ১১টি জেলায় নেমে এসেছে। এই জেলাগুলোর মধ্যে মাত্র তিনটিতে শক্ত ঘাঁটি রয়ে গেছে। আত্মসমর্পণকারী নকশালদের মধ্যে কারো মাথায় ১ কোটি টাকা, কারোর ১৫ লক্ষ বা ৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ছিল। মোদী বলেন, গত ৫০–৫৫ বছরে হাজার হাজার মানুষ মাওবাদী হামলায় নিহত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, নকশালরা সমাজের মূল সেবাকেন্দ্রগুলো—স্কুল, হাসপাতাল, ক্লিনিক—অবরোধ করত, বোমা হামলা চালাত এবং তরুণদের উপর অবিচার চালাত। তিনি বলেন, “এই প্রথম আমি সেই কষ্ট বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম।” ২০১৪ সালের পর থেকে সরকার যুব সমাজকে মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। মোদী উল্লেখ করেন, লাল করিডরের এলাকার মানুষ সংবিধানের অধীনে বসবাসের সুযোগ পেত না; নির্বাচিত সরকার থাকলেও তাদের ক্ষমতা কার্যকরভাবে প্রযোজ্য ছিল না। সূর্য ডোবার পর বাড়ি থেকে বের হওয়া বিপজ্জনক ছিল, এমনকি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরাই সঙ্কটের মুখোমুখি হতেন।
