ঝাড়গ্রামের পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে পর্যটকদের ভীড়, করোনা সংক্রমণ নিয়ে চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের । করোনার জন্য গত দু’বছর ধরে ঝাড়গ্রাম জেলার পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে পর্যটকরা আসতেন না। করোনার প্রভাব কমতে কম খরচে বৈচিত্র্যপূর্ণ জঙ্গলমহলের পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে ভ্রমনার্থীদের ভিড় বাড়ছে। এবার নতুন বছর কে স্বাগত জানাতে শনিবার পর্যটকরা ভিড় জমিয়েছেন জঙ্গলমহলের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র বেলপাহাড়ীর ঘাঘরা, ঢাঙ্গিকুসুম, গাডরাসিনি, তারাফেনী ড্যাম, সহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রে।
এছাড়াও ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের চিলকিগড় কনক দুর্গা মন্দির প্রাঙ্গনে শনিবার পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তাই পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে গিয়ে শনিবার পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা নিয়ে সচেতনতা মুলক প্রচার করা হয়। ঝাড়্গ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত পর্যটকদের ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখে মাস্ক ব্যবহার করার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার আবেদন জানানো হয় ।সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলকে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়।
করোনা সংক্রমণে আক্রান্তর সংখ্যা বাড়ছে ।তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা নিয়ে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে যায়।বেলপাহাড়ী সহ ঝাড়গ্রাম জেলার পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে মোতায়ন করা হয়েছে পুলিশ। করোনা পরিস্থিতি কে দূরে সরিয়ে রেখে ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ীতে শনিবার পর্যটকদের ভিড় ছিল ভাল। সেই সঙ্গে ব্যাপক ভিড় ছিল জামবনি ব্লকের চিলকিগড় কনক দুর্গা মন্দির প্রাঙ্গনে।কনকদূর্গা মন্দিরের পাশেই ডুলুং নদীর উপর শনিবার বহু পর্যটক সপরিবারে এসে পিকনিক করেন এবং আনন্দে মেতে ওঠে। ঝাড়গ্রামের মিনি চিড়িয়াখানায় ভিড় ছিল ভালো।
আর ও পড়ুন লালগড়ে ৫০ টি পরিবার বিজেপি ছেড়ে যোগদান করলো তৃনমূল কংগ্রেসে
বেলপাহাড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে বহু পর্যটককে হাসি মুখে ঘুরতে দেখা যায়। কলকাতা,হুগলি, হাওড়া, নদীয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী ঝাড়খন্ড ও উড়িষ্যা থেকে বহু পর্যটক শনিবার নতুন বছরের দিন ঝাড়গ্রামে বেড়াতে এসেছেন।তাই ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝাড়গ্রামে আসা পর্যটকদের যাবতীয় সহযোগীত করা হয়।
সেই জন্য নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বছরের প্রথম দিন শনিবার ঝাড়গ্রাম জেলার প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে প্রশাসনের নির্দেশ সত্বেও ঝাড়গ্রামে বেড়াতে আসা বহু পর্যটকদের মুখে মাস্ক ছিলনা। তাই পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বস্তরের মানুষকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে সচেতনতা মূলক প্রচার করা হয়। সেই সঙ্গে যারা মাস্ক পরেননি তাদের মাস্ক পরতে বাধ্য করা হয়।