নিজস্ব সংবাদদাতা,বীরভূম,১৮ই জুলাই :প্রশাসন ভবনের সামনে পথ অবরোধ স্থানীয়দের, স্তব্ধ জনজীবন
বৃহস্পতিবার ঠিক সকাল সাড়ে নটা, প্রশাসন ভবনের সামনে এসে জড়ো হয় সিউড়ির পার্শ্ববর্তী হুসনাবাদ গ্রামের বাসিন্দারা। প্রশাসন ভবনের সামনে তারা পথ অবরোধ নামে, প্রশাসন ভবন চত্বরের সমস্ত রাস্তা তারা অবরোধ করে রেখেছে, বাস গাড়ি তো দূরের কথা সাইকেল যাত্রী, এমনকি স্কুল পড়ুয়াদেরও যাতায়াতে বাধা দেওয়া হচ্ছে পথ অবরোধকারীদের তরফ থেকে।
কিন্তু কেন এই অবরোধ?
ঘটনার সূত্রপাত, এমাসের গত ১৪ তারিখ। সিউড়ির হুসনাবাদ গ্রামের নবম শ্রেণীর ছাত্র ইমরান খান তার বন্ধু সাহিল খানের সাথে সিউড়ির কাঁটাবুনি পাড়ায় যায় সাহিল খানের প্রেমিকার সাথে দেখা করতে। সে সময় প্রেমিকার বাবা সাহিল ও তার মেয়েকে একসাথে দেখে নিন। তাদেরকে মারধর করার জন্য এগিয়ে এলে সেখান থেকে ছুটে পালিয়ে যায় সাহিল খান। কিন্তু বন্ধু ইমরান বাইক নিয়ে পালিয়ে যেতে গেলে পেছন থেকে রডে করে মাথায় আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেখানেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা ইমরানকে উদ্ধার করে সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি করে। পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় প্রথমে বর্ধমান এবং পরে এনআরএস হাসপাতাল ভর্তি করা হয় ইমরানকে। তারপর গত পরশু দুপুর বারোটা নাগাদ তার মৃত্যু হয়।
যদিও প্রেমিক সাহিল খান ও কাঁটাবনি গ্রামের বাসিন্দারা দাবি করছিল তাকে মারধর করা হয়নি। পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তার, কিন্তু গ্রামবাসীরা সাহিলকে চাপ দিতেই সত্যি কথা বলে সে।
ঘটনার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা হুসনাবাদ গ্রাম। তাদের দাবি একটাই ইমরানকে যারা খুন করেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে, ফাঁসি দিতে হবে। সিউড়ি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ইমরান খানের বাবা। তদন্তের স্বার্থে প্রেমিক সাহিল খানকে আটক করেছে সিউড়ি থানার পুলিশ, সাথে সাথে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রেমিকার বাবাকেও।
কিন্তু হুসনাবাদ গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শুধু একজনকে গ্রেফতার করলে চলবে না, এই ঘটনার সাথে যুক্ত সকলকে গ্রেফতার করতে হবে। গ্রামবাসীদের দাবি যতক্ষণ না সকলকে গ্রেপ্তার করা হবে ততক্ষণ তারা অবরোধ তুলবেন না।
পরে অবশ্য পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়।