চলছে তিনটি র্যাপিড এক্সিট ট্যাক্সিওয়ে তৈরির কাজ। তার জন্য বিগত চার সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরের প্রাইমারি রানওয়ে। বিমান ওঠানামা করছে সেকেন্ডারি রানওয়ে দিয়ে। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধের মধ্যেই শেষ হয়ে যেতে পারে আরইটিগুলি তৈরির কাজ। প্রাইমারি রানওয়ে ফের চালু হচ্ছে বিমানবন্দরে
পরিকল্পনামাফিক কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে, রবিবার সকালে ১০টা থেকেই প্রাইমারি রানওয়ে চালু করে দেওয়া হতে পারে বিমান ওঠানামার জন্য।
মোট তিনটি নতুন র্যাপিড এক্সিট ট্যাক্সিওয়ে তৈরি হচ্ছে। তার মধ্যে দু’টি রাজার হাটের দিক থেকে অবতরণ করা বিমানগুলির জন্য ও একটি মধ্যমগ্রামের দিক থেকে অবতরণ করা বিমানগুলির জন্য। আরইটিগুলি অবতরণের পর বিমানের রানওয়েতে থাকার সময় বর্তমানের ৪৫-৫০ সেকেন্ড থেকে কমিয়ে ৩০ সেকেন্ডে নিয়ে আসবে। ফলে, প্রাইমারি রানওয়েতে আগে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫টি বিমানের বদলে প্রায় ৪২টি বিমান ওঠানামা করতে পারবে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আরইটিগুলি তৈরির কাজ শুরু করার পরিকল্পনা থাকলেও বৃষ্টির কারণে কাজ শুরু হয় গত ৪ মার্চ থেকে। যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৭ মার্চ। কিন্তু কিছু কাজ বাকি থাকায় সেগুলি সম্পূর্ণ করতে ২৫ মার্চ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সেই সময়সীমা ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
কলকাতা বিমানবন্দরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আরইটিগুলি তৈরির কাজ শেষ হয়ে যেতে পারে। তারপর রাস্তা রং করা, আলো লাগানো-সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ করতে আরও দু’দিন লাগবে। রবিবার থেকে চালু করে দেওয়া হতে পারে রানওয়েটি।
গত রবিবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে গরমের সূচি। চালু হয়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবাও। রানওয়ে বন্ধ থাকায় এই সময়কালে বিমানের সূচি নির্ধারণে একটু বেগ পেতে হচ্ছিল বিমান সংস্থাগুলিকে। কারণ, সেকেন্ডারি রানওয়েতে ঘণ্টায় ১৫-২০ টি বিমান ওঠানামা করতে পারে। যা প্রাইমারি রানওয়ের ক্ষমতার প্রায় অর্ধেক। আবার গরমের সূচিতে চলতি সপ্তাহ থেকে অন্তর্দেশীয় বিমান সংখ্যা প্রায় ১৫-২০ শতাংশ বাড়তে চলেছে। তাই সময়ে কাজ শেষ হয়ে রবিবারেই যেন রানওয়ে চালু হয়ে যায়, চাইছে বিমান সংস্থাগুলি