কলকাতা -ভারতীয় ফুটবলের জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে নৃশংস খুন। সল্টলেকের বাড়িতে উদ্ধার পরিচারকের দেহ। নৃশংস ভাবে তাকে খুন করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। কীভাবে কেন খুন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই ঘটনার পরেই বাড়ির এক ড্রাইভারকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর থানার পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম বরুণ ঘোষ বলে জানা যাচ্ছে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মদ খাওয়া নিয়ে সংঘাত। আর তার জেরেই এই ঘটনা। যদিও ঘটনার সূত্রে পৌঁছতে দফায় দফায় ধৃত বরুণকে জেরা করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছেন বিধাননগর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কেন এবং কীভাবে খুন তা জানার চেষ্টা করছেন।
প্রাক্তন ফুটবলারের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে খবর। ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন ফরেন্সিক এক্সপার্টরা। বলে রাখা প্রয়োজন, সল্টলেকের জিডি ব্লক প্রাক্তন ফুটবলার পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। অন্যতম অভিজাত এলাকা হিসাবেই পরিচিত। ওই বাড়িতে প্রাক্তন ফুটবলারের মেয়েরা থাকতেন বলে জানা যাচ্ছে।
শুক্রবার রাতে সেখান থেকেই বাড়ির পরিচারকের একেবারে রক্তাতব দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সুত্রে দাবি, হোলি উপলক্ষে বাড়িতেই ড্রাইভার এবং গাড়ির চালক মদ্যপানের আসর বসেছিল।
সেখানেই কোনও অশান্তি হয় দুজনের মধ্যে। এরপরেই পরিচারকে নৃশংস ভাবে অভিযুক্ত বরুণ খুন করে বলে অভিযোগ। রান্নাঘর থেকে ছুরি এনে এলোপাথাড়ি কোপ বসানো হয় বলেও দাবি। ইতিমধ্যে খুনে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এমনকী ঘটনাস্থল থেকেই বরুণকে গ্রেফতার করা হয়। তার হাতে এবং শরীরে রক্ত লেগেছিল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। আতঙ্কে বাড়ির সদস্যরা। এমনকী পাড়ার মধ্যেই এমন একটি খুনের ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকার মানুষজন।
প্রাক্তন ফুটবলারের বাড়িতে খুনের ঘটনায় কার্যত অবাক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকরাও। পুরো বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। শুধুই বচসা নাকি অন্য কোনও ঘটনা এর সঙ্গে জড়িত আছে তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বচসা হলেও কি নিয়ে হয় সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবারের সদস্য বচসার বিষয়ে কিছু জানতেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
