প্রাচীন মিশরে কন্ডোমের ব‍্যবহার, ইতিহাস খনন

প্রাচীন মিশরে কন্ডোমের ব‍্যবহার, ইতিহাস খনন

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

প্রাচীন মিশরে কন্ডোমের ব‍্যবহার, ইতিহাস খনন।  কন্ডোম ব‍্যবহার ইদানীংকালের ব‍্যাপার। অথচ সম্প্রতি ইতিহাসের অদ্ভুত খননের ফলে নতুনভাবে উঠে এসেছে অবিশ্বাস্য সব তথ‍্য। এই তথ‍্যানুসারে কন্ডোমের আবিষ্কার ও ব‍্যবহার আধুনিক নয়। বহু পুরানো। যৌনতা চিরকাল-ই ছিল অবাধ ছিল এটা প্রমাণিত সত‍্য। তবে যৌনতা সংক্রান্ত যথার্থ জ্ঞানের অভাব তখনো ছিল। আজও আছে। আছে এই সম্পর্কে খোলা আলোচনা। এই অজ্ঞানতার খেসারত-ও দিতে হয়েছে বারেবারে। তবে মিশরীয় ফ্যারাওদের যৌনতা সম্পর্কে সম্প্রতি যে তথ্য উঠে এসেছে তা আপনাকে অবাক করবেই।

 

বালক ফ্যারাও তুতানখামেনের সমাধি নিয়ে আজও রহস্য মানুষের মনে। জানেন কি, এই তুতানখামেন-ও কন্ডোম ব্যবহার করতেন?১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের শেষার্ধে তুতানখামেনের সমাধি আবিষ্কার করা হয়। এই আবিষ্কারের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন জর্জ এডওয়ার্ড হার্বার্ট। যিনি লর্ড কার্নারভন নামে অধিক পরিচিত। তাঁর এবং খননকার্যের সঙ্গে যুক্ত অনেক সঙ্গীর-ই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়, সে অবশ্য অন্য প্রসঙ্গ।

 

তবে বালক ফ্যারাওয়ের সমাধি খনন করে সেখানে বহু জিনিসপত্র-ই পাওয়া গিয়েছিল। যার মধ্যে অন্যতম একটি ছোট চামড়ার থলি, আর তার সঙ্গে কোমরের সঙ্গে বাঁধার ফিতে। গবেষণার পর বোঝা গিয়েছে, বস্তুটি আসলে কন্ডোম ছাড়া কিছুই নয়। গরুর চামড়া দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল এই বিশেষ কন্ডোমটি। আরও আশ্চর্য হতে হয় যখন এই কন্ডোমের মধ্যে থাকা ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষা করে গবেষকরা জানতে পারেন, এই কন্ডোম স্বয়ং ফ্যারাও তুতানখামেনের-ই ব্যবহৃত। আর সেটিকে গর্ভনিরোধক হিসেবেই মমির সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন – ফুটবল বিশ্বকাপের বিভিন্ন আশ্চর্য জনক ঘটনা

ঐতিহাসিকরা দাবি করছেন, তুতানখামেনের সমাধিতে পাওয়া এই কন্ডোম-ই আবিষ্কৃত হওয়া ইতিহাসের সবথেকে প্রাচীন কন্ডোম। যার ব্যবহার এবং কার্যকারিতা হাজার হাজার বছর পূর্বেই মিশরীয়রা জেনে গিয়েছিল। এছাড়া আরও একটি তথ্য সামনে আনছেন তাঁরা। মৃত্যুর পর তুতানখামেনের লিঙ্গটি নাকি ৯০° উত্থিত করে মমি করা হয়। যদিও মমি আবিষ্কার করার অল্প সময় পরেই নিখোঁজ হয় লিঙ্গটি।

 

পরবর্তীতে জানা যায়, সেটি ভেঙে অন্যত্র রাখা হয়েছিল।উল্লেখ্য, ১৩৩৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মাত্র আট বা নয় বছর বয়সে সিংহাসনের অধিকারী হন বালক ফ্যারাও তুতানখামেন। এরপর ১৩২৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মৃত্যুর আগে দশ বছর রাজত্ব করেছিলেন। বালক ফ্যারাওয়ের মমিকৃত মৃতদেহের জেনেটিক গবেষণায় ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, সম্ভবত শারীরিকভাবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত দুর্বল। ম্যালেরিয়া এবং হাড়ের রোগে আক্রান্ত। এও ধারণা করা হয়, সম্ভবত অপ্রজননের ফলে তাঁর এই সমস্যাগুলি দেখা দিয়েছিল। কারণ তুতানখামেনের পিতা-মাতা ভাইবোন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। প্রায় আটশ বছর আগেই এতটা উন্নত চিন্তা ভাবনার প্রসার ঘটেছিল।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top