প্রাণভয়ে কাশ্মীর ছাড়ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা । গত কয়েকদিনে কাশ্মীরে একের পর এক সাধারণ মানুষকে খুন করে চলেছে জঙ্গিরা। চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ১১ জন সাধারণ নাগরিক নিহত। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনই ভিন রাজ্যের। রবিবার বিহারের থেকে আসা ২ জন পরিযায়ী শ্রমিককে গুলি করে খুন করেছে জঙ্গিরা। তার পরেই তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।
কাশ্মীর ছেড়ে পালাচ্ছেন ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক, মজুররা। সোমবারই কাশ্মীর ছেড়ে জম্মুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। স্টেশনের বাইরে বসে রয়েছেন। অনেকেরই টিকিট কেনার ক্ষমতা পর্যন্ত নেই। সঙ্গে নেই খাবার, নেই জল। খিদেতে কাঁদছে শিশুরা। অনেকেই কাজ করতেন ইঁটে ভাটায়। সেখানকার মালিকরা বেতন মেটাননি বলে অভিযোগ। তবু পরিযায়ী শ্রমিকরা অনড়, কাশ্মীরে আর থাকবেন না।
পরিযায়ী শ্রমিকরা বুঝে গিয়েছেন, জঙ্গিরা তাঁদেরই নিশানা করেছে। রবিবার কুলগামে বিহারের দুই পরিযায়ী শ্রমিককে খুন করেছে জঙ্গিরা। শনিবার বিহারের এক ফুচকা বিক্রেতা এবং উত্তরপ্রদেশের এক ছুতোরকে খুন করেছে জঙ্গিরা। ফুচকা বিক্রেতার নাম অরবিন্দ কুমার শাহ। শ্রীনগরে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করা হয়েছে তাঁকে। উত্তরপ্রদেশের সাগির আহমেদকে পুলওয়ামায় খুন করেছে জঙ্গিরা।
আর ও পড়ুন বাংলায় করোনা সংক্রমণের হার একলাফে বেড়ে ৩ শতাংশে
খুন হয়েছেন কাশ্মীরি পণ্ডিত সংগঠনের বিশিষ্ট সদস্য এবং ব্যবসায়ী মাখনলাল বিন্দ্রু। এর পরেই বহু কাশ্মীরি পণ্ডিত কাশ্মীর ছেড়ে ফের চলে গিয়েছেন। মাথায় হাত কাশ্মীরের ব্যবসায়ীদের। সাধারণ মানুষ খুনের পর তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে বাহিনী। এখন পর্যন্ত ১৩ জন জঙ্গি মারা পড়েছে। এর মধ্যেই লস্করের সহযোগী জঙ্গি সংগঠনের হুঁশিয়ারি, পরিযায়ীরা কাশ্মীর ছাড়ুক। নয়তো মরতে হবে। ফলে আর ঝুঁকি নিতে চায়নি কেউ।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে কাশ্মীরে একের পর এক সাধারণ মানুষকে খুন করে চলেছে জঙ্গিরা। চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ১১ জন সাধারণ নাগরিক নিহত। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনই ভিন রাজ্যের। রবিবার বিহারের থেকে আসা ২ জন পরিযায়ী শ্রমিককে গুলি করে খুন করেছে জঙ্গিরা। তার পরেই তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। কাশ্মীর ছেড়ে পালাচ্ছেন ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক, মজুররা।
সোমবারই কাশ্মীর ছেড়ে জম্মুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। স্টেশনের বাইরে বসে রয়েছেন। অনেকেরই টিকিট কেনার ক্ষমতা পর্যন্ত নেই। সঙ্গে নেই খাবার, নেই জল। খিদেতে কাঁদছে শিশুরা। অনেকেই কাজ করতেন ইঁটে ভাটায়। সেখানকার মালিকরা বেতন মেটাননি বলে অভিযোগ। তবু পরিযায়ী শ্রমিকরা অনড়, কাশ্মীরে আর থাকবেন না।