কলকাতা – প্রায় সাড়ে তিন বছর জেলবন্দি থাকার পর মুক্তি পেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি রয়েছেন তাঁর নাকতলার বাড়িতে। ‘পোড়খাওয়া’ এই রাজনীতিককে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের রাজনৈতিক মঞ্চে দেখা যাবে কি না, সেই প্রশ্ন এখন ‘টক অফ দ্য টাউন’। বর্তমানে পার্থ মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন এবং শুধুমাত্র বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক। বিধানসভায় তিনি চাইলে উপস্থিত হতে পারেন। এবার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দেবেন কি না, তা রাজনৈতিক মহলে তীব্র চর্চার বিষয়।
বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, পার্থ চাইলে শীতকালীন অধিবেশনে আসতে পারেন। তিনি বলেন, “মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিধানসভায় চাইলে আসতে পারেন। উনি আমাদের প্রবীণ সদস্য। আদালতে মামলা চলছে, যেমন চলছে, বিধানসভায়ও বিধানসভার নিয়মেই চলবে। শীতকালীন অধিবেশনে চাইলে আসবেন, এবং যদি কোনও বিষয়ে বক্তব্য রাখতে চান, সুযোগ দেওয়া হবে। যেমন অন্যান্য বিধায়করা সুযোগ পান, তেমনই পাবেন উনি।”
গ্রেপ্তারির পর দল তাঁকে সাসপেন্ড করে। তাই বিধানসভায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে কোথায় বসানো হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিধানসভার কক্ষে স্পিকারের ডানদিকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা। বৃত্তাকারভাবে বসেন শাসকদলের বিধায়করা। স্পিকারের বামদিকে বসেন বিজেপির বিধায়করা। তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যবর্তী আসনে বসেন আইএসএফের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় শীতকালীন অধিবেশনে ফিরলে কোন আসনে বসবেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। শাসকদলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কেউ মুখ খোলেননি। তবে বিধানসভা কক্ষে পার্থর উপস্থিতি রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।




















