প্রায় লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তৃণমূলের প্রতিবাদ সভা বর্ধমানে

প্রায় লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তৃণমূলের প্রতিবাদ সভা বর্ধমানে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

প্রায় লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তৃণমূলের প্রতিবাদ সভা বর্ধমানে। বর্ধমান শহরের কার্জন গেট চত্বরে সিপিআইএম-এর তান্ডব ও নোংড়ামির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সহ, কেন্দ্র সরকারের লাগমহীন মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে এবং ইডি – সিবিআই দিয়ে তৃণমূলকে ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলে শনিবার এক বিশাল প্রতিবাদ সভার আয়োজন করল জেলা তৃনমূল কংগ্রেস। এদিনের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, স্বপন দেবনাথ ও সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, প্রদীপ মজুমদার।

 

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক,বিধায়ক নেপাল ঘরুই, বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ সহ অন্যান্য বিধায়কসহ বর্ধমান পৌরসভার কাউন্সিলর এবং জেলা নেতৃত্বরা। গত বুধবার বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচি ছিলো বর্ধমানে। আইন অমান্য কর্মসূচির নামে বর্ধমান শহরে তান্ডব চালায় বাম কর্মী-সমর্থকরা। নষ্ট করা হয় সরকারি সম্পত্তি। এমনকি পুলিশকে ঘিরে মারধর ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কের অফিসও ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় সরব হন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা।

 

বিধায়ক খোকন দাস বলেন, ‘রাজ্য নেতৃত্বর নির্দেশ মোতাবেক সিপিএম-কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যদি তৃণমূল মনে করত, তা হলে পাঁচ মিনিটও সময় লাগতো না তাদের শায়েস্তা করতে’। এদিনের প্রতিবাদ সভা থেকে নেতৃত্বরা আঙুল তুলে সাবধান করে দিলেন সিপিএম-কে। এছাড়া ইডি, সিবিআই এবং লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তারা। আজকের এই বিশাল প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে বার্তা সহ আগামীর প্রস্তুতি প্রসঙ্গে মা মাটি মানুষ পত্রিকাকে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ” ৩৪ বছরের বাম অপশাসন, সন্ত্রাস আর অত্যাচারের হাত থেকে বাংলার মানুষ মুক্তি পেয়েছেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরামহীন সংগ্রামের মাধ্যমেই। গত ২০২১ নির্বাচনে বাংলার বুক থেকে সম্পূর্ণ মুছে গেছেন তারা ।

 

তারা আবার সেই পুরোনো দিনের সন্ত্রাসকে হাতিয়ার করে ফিরে আসতে চাইছেন, সেটা বাংলার মানুষ কখনোই মেনে নেবে না। ওরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলতে পারে কিন্তু মানুষের হৃদয়ে মমতার যে ফ্লেক্স প্রতিষ্ঠা পেয়েছে সেটা ছিঁড়বে কি ভাবে !! আমরা আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা প্রস্তুত আছি যে মানুষের স্বার্থে উন্নয়নকে সঙ্গে করে এগিয়ে যাবো। আবারো বলছি, ওরা ফ্লেক্স ছিঁড়তে পারে কিন্তু বাংলার মানুষের হৃদয়ে মমতা, সেটা ছিঁড়বে কি করে!!

 

আর বিশ্ববাংলা লোগো ওরা ভেঙে দিয়েছে , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে তৈরি যে বিশ্ববাংলা আজ বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত সদ্য বাংলার দুর্গা পুজো কে হেরিটেজ ঘোষণার মাধ্যমে ইউনিস্কো সম্মানিত করেছে এটা আমাদের কাছে গর্বের। ওরা যতই অত্যাচার করুক না কেনো আমরা সংবদ্ধ ভাবেই গণতান্ত্রিক ভাবে তার বিরুদ্ধে লড়াই করবো আর সবকিছুর জবাব বাংলার মানুষই দিয়ে দেবেন।”

 

মা মাটি মানুষ পত্রিকাকে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জী বলেন,” ওরা শতকরা ৮০ শতাংশ দুর্নীতির মাধ্যমে দপ্তর গুলোতে তাদের সময়কালে নিয়োগ করেছে প্রাক্তন বিধায়ক নেতারা তাদের পরিচিতদের জায়গা করে দিয়েছে আজ তারা বড়ো বড়ো কথা বলছে আসলে নিজেদের দুর্নীতি লুকতেই তাদের প্রয়াস,আমাদের দল কখনোই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না , সিপিএম এর আমলে যেভাবে দুর্নীতি ও সন্ত্রাস চলেছে বছরের পর বছর ধরে তার হিসাবের কি হবে?? আজ বড়ো বড়ো ভাষণ দিচ্ছে ওরা !!

 

সেদিন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে ওরা মিছিল করে যেভাবে বাংলার গর্ব বিশ্ববাংলা লোগো ভেঙে দিয়েছে,যেভাবে লুটপাট করেছে , যেভাবে অত্যাচার করেছে সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না, আমরা সঙ্গবদ্ধ
ভাবে ওই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ময়দানে নেমেছি, গণতান্ত্রিক ভাবে এর মোকাবিলা করছি।আমরা আগামীতে সন্ত্রাসী সিপিএম এবং দেশের শত্রু অগণতান্ত্রিক বিজেপির বিরুদ্ধে এই আন্দোলনকে ব্লকে ব্লকে নিয়ে যাবো,এটাই আমাদের পরিকল্পনা আছে।।””

 

মা মাটি মানুষ পত্রিকাকে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ সভাধিপতি তথা বিধায়ক শম্পা ধাড়া বলেন,” বাংলার মানবিক সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যেভাবে নিরলস প্রচেষ্টায় উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ এর মাধ্যমে সর্বত্র সাজিয়ে তুলেছেন তাতে করে বিরোধীদের দিশেহারা অবস্থা।তাদের পক্ষে মানুষ নেই,তারা এখন সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে প্রচারে আসতে চাইছেন, এটা বাংলার মানুষ কখনোই মেনে নেবেন না।

 

উন্নয়ন, শান্তি শৃঙ্খলা দেখেই মানুষ ২০২১ শে বিপুল ভাবে জনসমর্থন দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে আর সিপিএম এক্কেবারে মুছে গেছে ওদের এখন দূরবীন দিয়েও দেখতে পাওয়া যায় না। আর নিজেদের প্রচারের আনতে গিয়ে যেভাবে বিশ্ব বাংলা লোগো ভাঙ্গা থেকে শুরু করে লুটপাট সন্ত্রাস চালিয়েছে সিপিএম সেটা সাধারণ মানুষ একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না।আমরা উক্ত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমাদের নেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যয়ের নির্দেশে শান্তিপূর্ণ জনসমাবেশ এর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ভাবে সাধারণ মানুষের সমর্থনে এই প্রতিবাদ সাভার মাধ্যমে সন্ত্রাসী সিপিএম এবং কেন্দ্রের জনবিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছি।”

 

মা মাটি মানুষ পত্রিকাকে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস বলেন,” সত্যিকথা বলতে বিরোধী বলে কিছুই নেই, আর সিপিএম নামক বিরোধীরা দূরবীন দিয়েও দেখা যায় না।ওরা আন্দোলন করুক গণতান্ত্রিক ভাবে, আমাদের দল বিরোধীদের আন্দোলনকে স্বাগত জানাই, কিন্তু সেই বিরোধিতা যদি সন্ত্রাসের রূপ নেয় সেটা আমরা বরদাস্ত করবো না।আমরা গণতান্ত্রিক ভাবে ওদের লাগামহীন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সাধারণ মানুষের সঙ্গে পথে নেমেছি।

 

আর ওরা যদি মনে করে বাংলার গর্ব অহঙ্কার আর সরকারি সম্পত্তির ওপর আক্রমণ করে পার পেয়ে যাবে সেটা একদমই নয়।তবে আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।আমাদের নেত্রী আমাদের শান্তিপূর্ণ ভাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ করার শিক্ষা দিয়েছেন আমরা সেটা মেনেই চলছি।আর কেন্দ্রীয় জনবিরোধী বিজেপি সরকারের খামখেয়ালী পনা আর কেন্দ্রীয় এজেন্সি দ্বারা প্রতিহিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে তৃণমূল লড়াই চালিয়ে যাবে।বাংলার মাটিতে ওরা এক ইঞ্চি ও জায়গা পাবে না।”

আরও পড়ুন – ঘরে নিদারুণ অভাব, তবুও সুব্রত কাপ জিততে মরিয়া বুধু সরেন, জিৎ সরেনরা

মা মাটি মানুষ পত্রিকাকে বিধায়ক নেপাল ঘরোই বলেন,” সিপিএম যেভাবে মিছিল করে সন্ত্রাস চালিয়েছে এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছে তার বিরুদ্ধে আমরা পথে নেমেছি ।আমাদের নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে গোটা রাজ্যে তাতে করে বিরোধিতা পায়ের তলায় জমি না পেয়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করছে।আমরা তার ঘোর বিরোধিতা করছি। আর কেন্দ্রীয় অপশক্তি বিজেপির বিরুদ্ধেও সোচ্চার হচ্ছি।”

 

মা মাটি মানুষ পত্রিকাকে বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগ বলেন, ” সিপিএম যেভাবে কার্জন গেট মোড় এলাকায় সেদিন সন্ত্রাস চালিয়েছে তার বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদে সামিল হয়েছি। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে যে নোংরা রাজনীতি করতে চাইছে তার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ভাবে আমাদের এই প্রতিবাদ সভা।এছাড়া কেন্দ্রীয় জনবিরোধী বিজেপি সরকারের রাজনৈতিক নোংরামির বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে।”

 

মা মাটি মানুষ পত্রিকাকে বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশিত মালিক বলেন,” সিপিএম যে নেক্কার জনক ঘটনা ঘটিয়েছে তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ পথে নেমেছেন। সরকারি সম্পত্তি নষ্ঠ করে রাজনীতির নোংরা খেলা বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। আর ওদের এখন দূরবীন দিয়ে খুঁজলেও কোথাও পাওয়া যাবে না তাই সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়ে প্রচারের আলোতে আসতে চাইছে। তবে আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ করছি ।আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের স্বার্থে যে ভাবে উন্নয়ন করেছেন তাতে করে সাধারণ মানুষ সর্বদা তৃণমূলের পক্ষেই আছেন।আর কেন্দ্রীয় অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।””

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top