প্রায় শতাধিক হাতির তাণ্ডব আতঙ্কিত ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লক এর বাসিন্দারা। ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে হাতির তাণ্ডব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ,সাঁকরাইল, গোপীবল্লভপুর, ঝাড়গ্রাম, লালগড় ও জামবনি ব্লক জুড়ে ব্যাপক তাণ্ডব শুরু করেছে হাতির দল । শুধুমাত্র জামবনি ব্লক এলাকায় শতাধিক হাতির দল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। দুটি ভাগে ভাগ হয়ে হাতির দল লোকালয়ে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করেছে। রবিবার ভোরে প্রায় দশটি মাটির বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে হাতির দল।
অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন পাঁচজন। বেপরোয়াভাবে হাতির দল খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে । যার ফলে ওই এলাকার গ্রামবাসীদের চোখে ঘুম নেই। হাতির হামলার আশঙ্কায় গ্রামবাসীরা রাত জেগে গ্রাম পাহারা দিচ্ছেন। তা সত্ত্বেও রাতের অন্ধকারে গ্রামে ঢুকে পড়ছে হাতির দল । তাই বিপাকে পড়েছেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন – এই দুর্গে রাত কাটালেই মৃত্যু নিশ্চিত, জানেন কোথায় আছে এই দুর্গ, কি তার রহস্য
যেভাবে হাতির দল লোকালয়ে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করেছে তাতে আরো ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা। ঘরবাড়িও ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে । যে ভাবে হাতির দল জামবনি ব্লক এর বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে পড়ছে তাতে গৃহবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন গ্রামবাসীরা । বন দফতরের পক্ষ থেকে সন্ধ্যা 6 টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত জঙ্গল এলাকার রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে নিষেধ করা হয়েছে। হাতিকে উত্যক্ত করতে নিষেধ করা হয়েছে ।সেই সঙ্গে হাতির যাত্রা পথে বাধা দিতে নিষেধ করা হয়েছে ।কিন্তু সন্ধ্যা তো দূরের কথা দিনের বেলায় ও গ্রামবাসীরা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় করছেন ।
সন্ধ্যা নামলেই হাতির দল লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে ।কিভাবে হাতিকে অন্যত্র নিয়ে যাবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে বন দফতর। একটি মা হাতি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রয়েছে। সেই হাতি টি কে ঘিরে রয়েছে ওই হাতির দল বলে বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয় । যার ফলে হাতির দল ওই এলাকা থেকে সরছে না। তবে হাতির দলের গতিবিধির উপর নজরদারি শুরু করেছে বনদপ্তর। ঘটনাস্থলে রয়েছে বন দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীরা । তা সত্তেও গ্রামবাসীরা হাতির হামলার আশঙ্কায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। বন দফতরের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন থাকার আবেদন জানানো হয়েছে।